বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) জামিন পেয়ে বীরভূমে ফেরার পর থেকে একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছে জেলার রাজনৈতিক সমীকরণ। তৃণমূলের (Trinamool Congress) দুই হেভিওয়েট কেষ্ট এবং কাজল শেখের (Kajal Sheikh) মধ্যেকার ‘রসায়ন’ কারোর অজানা নয়। বিগত কয়েক মাসে তা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। এবার যেমন ফের একবার কাজলের একটি মন্তব্যের পর এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। নাম না করেই কি কেষ্টকে আক্রমণ শানালেন তিনি? দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন।
নাম না নিয়েই অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) নিশানা কাজলের?
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘হঠাৎ বীরভূম জেলা পরিষদ পিছিয়ে গেল। মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। দেখতে হবে। ফের আমরা এক নম্বরে চলে যাব। আমরা চারবার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছি’। এবার তাঁর এই দাবির পাল্টা দিলেন কাজল শেখ। অনুব্রতর নাম না নিয়েই চক্রান্তের অভিযোগ আনলেন তিনি।
মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি। সেখানে কাজল বলেন, ‘একজন ছাত্র কোন পজিশন পেয়েছে সেটা জানার পাশাপাশি এটাও দেখা উচিত সে আর কোন কোন বিষয়ে ভালো কাজ করল। ১৫ ফিন্যান্সে পিছিয়ে থাকলেও বাকিতে ভালো জায়গায় রয়েছে। যে টাকা পড়েছিল, সব টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। ১৫ ফিন্যান্সে আমরা চার নম্বরে রয়েছি’।
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টে গিয়ে পুড়ল কপাল! কড়া নির্দেশ দিয়ে দিলেন ‘বিরক্ত’ বিচারপতি! বড় বিপাকে সন্দীপ?
কাজল এদিন জোর গলায় বলেন, কোনও অংশ থেকেই বীরভূম জেলা পরিষদ পিছিয়ে নেই। জেলা পরিষদের সভাধিপতির কথায়, ‘এটা বিভ্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়। এটা নিয়ে যিনি বক্তব্য রাখছেন, তিনি বীরভূমকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন’। সরাসরি অনুব্রতর (Anubrata Mondal) নাম না নিলেও, অনেকেই মনে করছেন নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে তাঁকেই নিশানা করেছেন কাজল। ফলে ফের একবার চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছে তাঁদের ‘সমীকরণ’।
এদিকে কিছুদিন আগে অনুব্রত (Anubrata Mondal) দাবি করেছিলেন, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা এবং পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র আউসগ্রাম, কেতুগ্রাম এবং মঙ্গলকোটের দায়িত্ব দিয়েছেন। এদিন তাঁর সেই দাবিকেও উড়িয়ে দেন কাজল। তৃণমূল নেতা বলেন, যতক্ষণ না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী বলছেন, ততক্ষণ তিনি এই দাবি মানেন না।