বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৩০ এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিনে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন হয়েছে। দ্বার উন্মোচন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এল এই মন্দির। সত্যিই কি পুরীর মন্দিরের বাড়তি পবিত্র নিমকাঠ দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Digha Jagannath Temple) বিগ্রহ তৈরি হয়েছে? তদন্ত করে দেখবে ওড়িশার খ্যাতনামা এই জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধনের পরেই বিতর্কে জড়াল দিঘার জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple)!
ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন শুক্রবার বলেন, শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের প্রশাসনিক প্রধান অরবিন্দ পাধি ‘নিমকাঠ বিতর্কে’র বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। দাবি করা হচ্ছে, ২০১৫ সালের নবকলেবর অনুষ্ঠানে বেঁচে যাওয়া পবিত্র নিমকাঠ দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি হয়েছে। এই দাবি কতখানি সত্য? এবার সেটাই খতিয়ে দেখা হবে।
এক্ষেত্রে বলে রাখি, নবকলেবর অনুষ্ঠানে (Nabakalebara) শ্রী জগন্নাথ, শ্রী বলভদ্র ও দেবী সুভদ্রার বিগ্রহের পুনর্নবীকরণ হয়। পবিত্র নিমকাঠ তথা দারু ব্যবহার করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। শোনা গিয়েছিল, ২০১৫ সালের নবকলেবর অনুষ্ঠানে বেঁচে যাওয়া দারু দিয়েই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি হয়েছে। পুরীর অভিজ্ঞ দয়িতাপতি রামকৃষ্ণ দাসমহাপাত্র এই কথা বলেছেন বলে দাবি করেছে বহু রিপোর্ট। এরপরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুনঃ ‘ইচ্ছা হলে হতে পারে’,’ এটা মমতাও জানেন যে..,’ অবশেষে নিজের নিজের মুখেই সবটা বললেন দিলীপ
এই বিষয়ে ওড়িশার আইনমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এহেন দাবির নেপথ্যের সত্যতা কী সেটা খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গেই যাদের দোষী হিসেবে পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে নানান রিপোর্ট বলছে, পুরীর অভিজ্ঞ দ্বৈতপতি রামকৃষ্ণ দাসমহাপাত্র নাকি বলেছেন, ২০১৫ সালের নবকলেবর অনুষ্ঠানে বেঁচে যাওয়া পবিত্র নিমকাঠ দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি হয়েছে। যদিও তিনি নিজে সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। শুক্রবার পুরীতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, তাঁর বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং হয় ইচ্ছাকৃতভাবে এডিট করা হয়েছে নতুবা সেটি মরফড।
পুরীর দয়িতাপতি রামকৃষ্ণ দাসমহাপাত্রের কথায়, দিঘার মন্দিরের (Jagannath Temple) বিগ্রহ সাধারণ নিমকাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে। তাঁকে দিঘার মন্দিরে শুধুমাত্র আচার অনুষ্ঠান করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। এই আবহে পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ যে তদন্ত শুরু করেছে, সেখানে কী উঠে আসে সেদিকে নজর থাকবে।
এই বিষয়ে বাংলা হান্টের তরফ থেকে জগন্নাথ দ্বৈতপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এখনও অবধি মুখ খুলিনি… সুব্রত বক্সীকে আমি প্রথমেই বলে দিয়েছিলাম… তবে আমি এই বিষয়ে এখন কিছু বলব না। ৪-৫ দিন পর যা বলার বলব। এখন নাটক চলছে’।