বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেব (Dev), মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) অভিনীত ছবি ‘প্রজাপতি’র জায়গা হয়নি নন্দনে। আপাতত এই খবরেই তোলপাড় বিভিন্ন। রাজনৈতিক মতাদর্শগত দিক দিয়ে আলাদা হলেও বিনোদন জগতে মিঠুন দেবের সিনিয়র অভিনেতা। এই প্রথম দুজনে একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করলেন। তাও আবার বাবা ছেলের চরিত্রে।
গত ১৩ ডিসেম্বর দেবের জন্মদিনের ঠিক আগের দিন মুক্তি পেয়েছে প্রজাপতি। একাধিক কারণে ছবিটি নিয়ে দর্শ মহলে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। গোটা বাংলা জুড়ে বিভিন্ন ছোটবড় প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পেলেও নন্দনের মতো সরকারি প্রেক্ষাগৃহে জায়গা পায়নি প্রজাপতি।
বিষয়টাকে ঘিরে প্রকাশ পেয়েছে দেবের অভিমানও। একটি টুইটে সাংসদ অভিনেতা লেখেন, ‘এবারে নন্দনকে মিস করব। কোনো ব্যাপার নয়। আবার দেখা হবে। গল্প শেষ।’ টুইটে দেবের অভিমান অনেকটাই স্পষ্ট। প্রতিবারই তাঁর ছবি নন্দনে জায়গা পেয়েছে। কিন্তু এবারে তিনিও পড়লেন ব্রাত্য অভিনেতাদের তালিকায়।
এমতাবস্থায় একটি প্রশ্ন বারে বারে উঠে আসছে। মিঠুন রয়েছেন বলেই কি নন্দনে জায়গা পেল না প্রজাপতি? বিজেপির তারকা সদস্য মিঠুন পঞ্চায়েত ভোটের আগে চষে বেরিয়েছেন বিভিন্ন জেলা। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন, কটাক্ষ শানিয়েছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।
কিছুদিন আগে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবেও তারকা অতিথিদের মধ্যে জায়গা হয়নি মিঠুনের। আর এবার প্রজাপতি বিতর্ক। শুধুমাত্র মিঠুনের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেই কি নন্দনে ব্রাত্য থেকে গেল ছবিটি? তৃণমূলের সাংসদ হয়েও এই পরিস্থিতিতে পড়তে হল দেবকেও।
উল্লেখ্য, এর আগে এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন স্পষ্টই বলেছিলেন, দেব বারবার রাজনৈতিক সৌজন্যের কথা বলেন। সেটা থাকা উচিত। মিঠুনের কথায়, ‘উপরে উপরে সব ঠিক আছে, সবাই বন্ধু। নীচে যারা ওরা বোঝে না, ধুমধাড়াক্কা করে বেড়াচ্ছে।’
অন্যদিকে দেব বলেছিলেন, প্রথম বার নির্বাচনে জেতার সময় থেকেই রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় রেখে এসেছেন। প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষনা হওয়ার পরেই প্রবীণ সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে আশীর্বাদ নিয়েছিলেন। এখনো সৌজন্য বজায় রেখেছেন তিনি।