বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেখতে দেখতে বেশ বড় হয়ে গিয়েছেন রচনা বন্দোপাধ্যায়ের (Rachna Banerjee) ছেলে প্রণীল (Pranil)। একটা সময় ছেলেকে একা হাতেই মানুষ করেছিলেন অভিনেত্রী। যদিও স্ত্রী এবং মা হিসেবে নিজেকে দশে ‘শূন্য’ দিয়েছেন রচনা। অভিনেত্রী হিসেবে সফল হলেও ব্যক্তিগত জীবনে কিন্তু নানান চড়াই-উতরায়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন দিদি নাম্বার ওয়ান রচনা। দাম্পত্য জীবনেও সুখী হতে পারেননি অভিনেত্রী।
যদিও ছেলের কথা ভেবেই স্বামী প্রবাল বসুর সাথে না থাকলেও তাঁকে ডিভোর্স দেননি অভিনেত্রী। তবে গোটা ইন্ডাস্ট্রি জানে রচনা মা হিসেবে কতখানি যত্নশীল। দিদি নাম্বার ওয়ানে একবার তিনি জানিয়েছিলেন একটা সময় মেকআপ রুমে বোরখা লুকিয়ে রাখতেন। আসলে সেলিব্রেটি হওয়ার সুবাদে বাংলা জোড়া খ্যাতি তাঁর। তাই যাতে লোকজন তাঁকে চিনে না ফেলে তাই ওই বোরখা পরেই মেট্রোতে যাওয়া আসা করতেন রচনা।
মেট্রোতে গেলে সময় কম লাগে। তাই তাড়াতাড়ি ছেলের কাছে পৌঁছানোর জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করতেও কোনদিন কুন্ঠাবোধ বোধ করেননি অভিনেত্রী। তাই বোরখা পরে মেট্রো করে বাড়ি গিয়ে তাকে পড়ানো থেকে শুরু করে তার সমস্ত ছোটখাটো বিষয়ে খেয়াল রাখা সমস্তটাই একা হাতে সামলাতেন রচনা। তাছাড়া তারকা রচনার পরিচয় দূরে সরিয়ে বাড়িতে তিনি আর পাঁচজন সাধারণ মায়ের মতই খুবই কড়া তাঁর ছেলের বিষয়ে।
এককথায় ছেলে অন্ত প্রাণ রচনা। কিন্তু সেই ছেলেই এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। বন্ধুবান্ধব-পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত জীবনে এখন নাকি মায়ের জন্যই সময় নেই সেই ছেলের। একবার দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালনা করতে গিয়ে এক অভিনেত্রীকে এমন কথাই বলেছিলেন রচনা। ছেলে বড় হয়ে যাওয়ায় তার দুরন্তপনা, দুষ্টুমি সবটাই মনে পড়ে রচনার।
তবে ব্যস্ততার মধ্যেও অভিনেত্রী তাঁর ছেলেকে কড়া অনুশাসনে রাখেন সারাক্ষণ। আসলে রচনাও তাঁর বাবার কাছে ছোট থেকেই অনুশাসনের মধ্যে দিয়েই বড় হয়েছেন। কোনদিনই বাবার বাধ্য বই অবাধ্য মেয়ে ছিলেন না তিনি। তাই নিজের পাওয়া শিক্ষাটাই তিনি বরাবরই দিয়ে এসেছেন নিজের ছেলেকেও। সদ্য রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন রচনা। প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েই প্রতিপক্ষ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় কে বিপুল ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি।