বাংলা হান্ট ডেস্ক : রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rachna Banerjee) এক ডাকে চেনে গোটা দুনিয়া। বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী (Rachna Banerjee) বাংলার দর্শকদের কাছে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (Didi No 1) নামেই পরিচিত। সেই সাথে তিনি এখন যুক্ত হয়েছেন সক্রিয় রাজনীতির সাথেও। রাজ্যের শাসক দলের টিকিটে জিতে রচনা (Rachna Banerjee) এখন তৃণমূল সাংসদ। আরজিকর কাণ্ডে সম্প্রতি তাঁর করা বেশ কিছু মন্তব্য কিংবা ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অকপট চনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে অভিনেত্রীর। প্রসঙ্গত রচনা (Rachna Banerjee) সবসময়ই মনে করেন তিনি নিজে যেমন তেমনভাবেই নিজেকে গ্রহণ করবেন। তাই অভিনেত্রী সবসময়ই নিজের দিকটাই, অর্থাৎ নিজের ভুল-ত্রুটির দিকেই নজর দিতে পছন্দ করেন। তাছাড়া অন্যের ভরসায় নয় বরং তিনি নিজে যতটুকু পারবেন ততটুকুতেই তিনি সন্তুষ্ট থাকতে পছন্দ করেন।
একবার জি বাংলার জনপ্রিয় টক শো ‘অপুর সংসার’-এ সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সাথে জমিয়ে আড্ডা দিতে এসেছিলেন অভিনেত্রী। সেসময় অভিনেত্রী নিজেই নিজেকে মা হিসাবে ১০ এর মধ্যে ৭ দিয়েছিলেন। কিন্তু রচনা মনে করেন বাস্তব জীবনে আদর্শ স্ত্রী হিসাবে তিনি ডাহা ফেল করেছেন। তাই স্ত্রী হিসেবে তিনি নিজেকে ১০-এর মধ্যে শুধুই শূন্য দেবেন।
একরাশ আফসোস নিয়ে অন ক্যামেরা অভিনেত্রী বলেছিলেন,’ আমার মনে হয়, ভালোভাবে সংসার করার জন্য একজন স্ত্রীর মধ্যে যে কোয়ালিটি থাকা উচিত আমার বোধহয় তা নেই।’ সেইসাথে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আরও অনেকটা বেশি স্বামীর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হত। করলে হয়তো সবটা ভীষণ ভাল হল, আদর্শ স্ত্রী হতে পারতাম। সেটা হয়তো করতে পারিনি, কারণ, সবার নিজেস্ব একটা গোল থাকে জীবনে, কেউ মনে করে আমার এই-এই পয়েন্টগুলো ঠিক, অপরজন মনে করে, তাঁর সেই-সেই পয়েন্টগুলো ঠিক।’
আরও পড়ুন : সহ অভিনেতার সাথে প্রেম! ৮ বছরের সম্পর্কেও কালা জাদু, তারপরেই ব্রেকআপ, কে এই সুন্দরী?
তারপরেই এই পেশার সাথে যুক্ত অন্যান্য অভিনেত্রীদের পরামর্শ দিয়ে রচনা এদিন বলেন, ‘আমরা যাঁরা এই অভিনয় পেশার সাথে যুক্ত, বিশেষ করে মেয়েরা, তাঁদের এমন কাউকে বিয়ে করা উচিত, যাঁরা এই পেশাটাকে বুঝবে। যদি এই পেশার মানুষ হন, খুবই ভাল, নয়তো, সেই বোধটা থাকা প্রয়োজন। তেমন মানুষের সঙ্গেই সংসারটা করা উচিত। কারণ আমাদের পেশাটা এতটা আলাদা অন্যদের থেকে, সেটা বোঝা, জানা, সেই মানুষটাকেও অনেক ক্ষেত্রে অনেকটা মানিয়ে নিতে হয়। নয়তো সুখী ঘর হওয়া খুব মুশকিল।’
তবে জীবনে এমন মানুষ না আসার জন্যও কোনো দুঃখ নেই অভিনেত্রীর। উল্টে বিষয়টিকে সহজ ভাবে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। রচনার কথায়, ‘সবটাই নিজের মনের মধ্যে। আমি যদি মনে করি এটাতে আমি দুঃখী, আমি এটা কেন পেলাম না, আমার এটা কেন হল না। তার বদলে যদি আমরা মেনে নিয়ে থাকি যে এটা আমার হওয়ার ছিল না, আমারই কোনও খামতি ছিল, বিষয়টা অনেকবেশি সহজ হয়ে যায়।’