বাংলাহান্ট ডেস্ক: এ সপ্তাহের টিআরপি তালিকায় যেন চমকের উপরে চমক। সব চ্যানেলের সব সিরিয়ালকে পেছনে ফেলে প্রথম বার বাংলা সেরা হয়েছে ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ (Lokkhi Kakima Superstar)। অপরাজিতা আঢ্য আর দেবশঙ্কর হালদারের জুটি কামাল করে দেখিয়েছে টেলিভিশনের পর্দায়। ৮.২ পয়েন্ট নিয়ে সেরার সেরা লক্ষ্মী দাস।
কিন্তু বাংলা সিরিয়ালগুলোকে কার্যত দশ গোল দিয়ে টেক্কা মেরে বেরিয়ে গিয়েছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন ফিকশন শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (Didi Number One)। এ সপ্তাহে দিদি নাম্বার ওয়ানের ঝুলিতে উঠেছে ৯.৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ সিরিয়ালগুলির থেকেও বেশি নম্বর পেয়ে চমকে দিয়েছে দিদি নাম্বার ওয়ান। সারেগামাপাও ভাল নম্বর পেয়েছে এ সপ্তাহে। ৭.১ পয়েন্ট পেয়েছে জি এর এই গানের রিয়েলিটি শো।
অবশ্য প্রথম থেকেই সারেগামাপা বেশ ভাল ফল করে আসছে। তুলনায় নম্বর অনেকটাই কম স্টার জলসার নন ফিকশন শো ইসমার্ট জোড়ির। জুটিদের নিয়ে নতুন নতুন খেলা এনেও টিআরপি তেমন বাড়াতে পারছে না এই শো।
বিভিন্ন চ্যানেলের নন ফিকশন শো গুলির মধ্যে দিদি নাম্বার ওয়ান বেশ পুরনো। গত রবিবার লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টারের সপরিবারে দিদি নাম্বার ওয়ানে আসার পর্ব দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল টিআরপি। আর এবারে সোজা বাংলা সেরার তকমা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চলছে দিদি নাম্বার ওয়ান। সেই ২০১০ সালে শুরু হয়েছিল শো। তখন পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে দিদিদের সঙ্গে খেলা হত এই গেম শো। ধীরে ধীরে শোয়ের পরিসর বেড়েছে। এখন দিদি নাম্বার ওয়ান একটা ব্র্যান্ডের মতো। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম, বাংলা তো বটেই, প্রবাসী মহিলারাও এই মঞ্চে এসে খেলে যান রচনার সঙ্গে।
প্রথমে এক দুটি সিজনে অন্য সঞ্চালিকা দিয়ে শুরু হয়েছিল শো। এমনকি দেবশ্রী রায়ও সঞ্চালনায় হাত পাকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু রচনা ছাড়া যেন দিদি নাম্বার ওয়ান অসম্পূর্ণ।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর