বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে বেজে গেছে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) দামামা। আর সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল। ভোট পূর্বে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যেতে মমতা সরকারের নয়া উদ্যোগ ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’। তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রণিত দূতেরা সাধারণ মানুষের সমস্যা নিরসনে পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁদের দুয়ারে। আর তাতেই ঘটছে একের পর এক বিপত্তি। দিদির দূত হয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূল নেতা, সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রী। এবার সেই ধারা বজায় রেখেই কর্মসূচীতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সিউড়ির (Siuri) বিধায়ক (TMC MLA) বিকাশ রায় চৌধুরী।
ঠিক কী ঘটেছিল? এদিন রবিবার ‘দিদির দূত’ হয়ে বীরভূমের (Birbhum) চিনপাই (Chinpai) পঞ্চায়েত এলাকা সফরে বেরিয়েছিলেন সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। এদিন চিনপাইএর এলেমা গ্রামে গিয়ে কর্মসূচি পালনের কথা ছিল বিধায়কের। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। বিধায়ক গ্রামের ঢোকার আগেই তাঁকে আটকাতে রাস্তায় বাঁশ ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
কিন্তু কেন এহেন পদক্ষেপ গ্রামবাসীর? তাঁদের অভিযোগ, বহুদিন যাবৎ পানীয় জল, ঘর সহ একাধিক সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা। তবে বিধায়কের সেই বিষয়ে বিন্দুমাত্র নজর নেই। স্থানীয় এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, “আমাদের অন্য জায়গা থেকে জল এনে খেতে হয়। জলের জন্য আমরা বিক্ষোভ করেছি। আর কিছুর জন্য তো আমরা বলিনি। এই আবেদন তো আমরা প্রথমবার করছি, এমন নয়। এর আগেও জলের জন্য বহুবার বলেছি। এই বিকাশ রায়কেই তো বলেছি। উনি তো লিখিতভাবে বলেছিলেন আমাদের সমস্যার সমাধান করবেন। এমনকী জায়গা পর্যন্ত দেখে গেলেন। কিন্তু কোথায় কী!”
ওপর বিক্ষোভকারীর অভিযোগ, “আমরা দিনমজুরের কাজ করি। আমরা গরিব, আমাদের তো কিছুই নেই। সরকারের জায়গাতেই আমরা থাকি। আমাদের মাটির বাড়ি। অথচ এখনও বাড়ি পেলাম না। যাদের বাড়ি রয়েছে তাদের বাড়ি দিচ্ছে। পাকাবাড়ি, জমি থাকার পরও বাড়ি পাচ্ছে। আর আমার দিন আনা দিন খাওয়া, বাড়ি নেই। জলের সমস্যা গ্রামে গ্রামে। তারও কোনও বিহিত করেনি। এগুলো দেখুক।”
তবে এবিষয়ে সাফাই দিয়ে তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য, “কয়েকদিন আগে পানীয় জলের জন্য সাব মার্সিবল বসনোও হয়। কিন্তু কোনও কারণে সেটা মানুষের পানীয়ের উপযোগী নয়। সভাপতি আমাকে বলেছিল। বলেছিলাম, গ্রাম থেকে লিখিত দিতে। সরকারি কাজ করতে গেলে এটা দরকার হয়। ৫-৭ দিন আগের কথা। ওরা আমার প্রতি আস্থা রেখেছে। আমি তো বিধায়ক, আমি তো জেলা পরিষদের সভাধিপতি। একটা সাব মার্সিবল বসানোর জন্য তো আমাকে হাজার কথা ভাবতে হবে না। আর কেউ যদি বলে ৫ বছর ধরে আমাকে বলে কাজ হয়নি, তারা বিজেপির মানুষ।”