ডায়েটে কোন খাবার খাওয়া যায় না? সরাসরি জানাচ্ছে WHO

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন’-এর মতে, স্বাস্থ্যকর খাবার (Diet Chart) শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়। স্বাস্থ্যকর খাবার (Diet Chart) গ্রহণ করলে শরীরে কোনো ধরনের পুষ্টির ঘাটতি হয় না। এছাড়াও অসংক্রামক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, স্ট্রোক এবং হার্ট সম্পর্কিত রোগ। একজন মানুষের জীবনধারা যদি ভালো না হয় তাহলে সে অনেক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এতে বলা হয়েছে একজন মানুষের কী খাওয়া উচিত আর কী নয়।

WHO খাদ্য নির্দেশিকা জারি করেছে যাতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ডায়েটে ফল, শাকসবজি, ডাল এবং শুকনো ফল এবং মোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় শাকসবজি খেতে হবে। এর পাশাপাশি কাঁচা সবজি ও স্ন্যাকস খেতে হবে। মৌসুমি ফল খেতে হবে। কোন সবজি খাবেন তা ঠিক করার চেষ্টা করা উচিত। সারাদিনে এক চামচ লবণ খেতে হবে। খাবারে আয়োডিনযুক্ত লবণ থাকতে হবে।

Diet Chart

স্বাস্থ্যকর খাবার (Diet Chart) শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়

খাবারে ট্রান্স ফ্যাট খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। মাংস, বেকড এবং ভাজা খাবার, হিমায়িত পিজা, পাই, কুকিজ, বিস্কুট এবং ওয়েফার ইত্যাদির মতো আগে থেকে প্যাকেজ করা খাবারে ট্রান্স ফ্যাট কম খাওয়া উচিত। যেসব জিনিস ভাপিয়ে ও ভাজি করে খাওয়া হয় সেগুলো বেশি ভাজা উচিত নয়। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। মাখন ও ঘি এর পরিবর্তে পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত তেল ব্যবহার করতে হবে। সয়াবিন, ক্যানোলা, কর্ন এবং সূর্যমুখী তেলের মতো। এই তেলগুলিকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের একটি অংশ করা উচিত।

ডোনাট এবং কেক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অতিরিক্ত চিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এর পাশাপাশি স্থূলতাও বাড়তে থাকে। চিনি খাওয়া কমাতে হবে। এ জন্য কার্বনেটেড ড্রিংকস, স্পোর্টস ড্রিংকস, রেডি টু ড্রিংক চা এবং ফ্লেভারড মিল্ক কম ব্যবহার করতে হবে। খাদ্যে শস্যের পরিমাণ সীমিত করা উচিত দ্বিতীয় প্রধান অংশ হল শস্য এবং বাজরা। এর পর আসে ডাল, মাংস জাতীয় খাবার, ডিম, শুকনো ফল, তৈলবীজ এবং দুধ বা দই। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা এবং বুকের দুধ খাওয়ানো মহিলাদের যতটা সম্ভব দুধ, ডিম এবং মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Pousali Chakraborty
Pousali Chakraborty

সংবাদের প্রতি টানে ব্রেকিংয়ের দুনিয়ায় পা দেওয়া পৌষালীর। দর্শন নিয়ে স্নাতকে এগোলেও পরবর্তী পথ চলাটা খবরের দিকে ঘুরে যায়। জীবনে আসে যাদবপুর থেকে পড়ার অল্প সময়ের সুযোগ। টলিপাড়ায় উঁকি দেওয়া থেকে বাইশ গজের পিচে কার ঝুলিতে কত রান, দুই দিকেই নজর ঘোরাতে ভালোবাসেন পৌষালী। পর্দার অনুষ্কা-মাঠের বিরাট দু'জনের খবর সমান তালে রাখার চেষ্টা করে। অবসর সময় কাটে নাচ, বই, ম্যাগাজিনে চোখ বুলিয়ে।

সম্পর্কিত খবর