বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারত (India), বাংলাদেশ, পাকিস্তান তিন দেশের মধ্যে এখন লড়াই হয়ে উঠেছে জোরদার। তবে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের তুলনায় আমাদের ভারত সর্বদা এগিয়ে। ফের একবার সে কথাই প্রমাণ হয়ে গেল। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভাণ্ডারে চোখ রাখতেই ছিটকে গেলো বাংলাদেশ, পাকিস্তান। আগের তুলনায় বাংলাদেশ এদিক থেকে উন্নতি করলেও ভারতকে টক্কর দেওয়ার মতো উন্নতি করতে পারেনি। তবে জানা গিয়েছে চলতি মাসে ভারত বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে তাতে দুই প্রতিবেশী দেশের খুব একটা সুবিধা হয়নি।
ভারত (India) বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ভাণ্ডারের ব্যবধান:
সম্প্রতি আইএমএফ (IMF) হিসাবে যে তথ্য প্রকাশ করেছে তা থেকে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯.২০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু উল্টোদিকে, আইএমএফ এমনটা বললেও বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক দাবি করছে, এই মুহূর্তে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ২৪.৭৫ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি আরো জানা গিয়েছে, বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণের টাকা চলে এলে, এই অঙ্কটা আরো এক বিলিয়ন ডলার বেড়ে যাবে। তবে দুদিকে দু’রকমের তথ্য আসার ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কতখানি সেই নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে গেছে। উল্টোদিকে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। ৬ই ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্কে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে মাত্র ১২.০৫ বিলিয়ন ডলার। আর এদিকে ভারত (India) দুই দেশের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি এগিয়ে।
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের অবস্থা: তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে গত নভেম্বর মাসে ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ছিল ৬৫৮.০৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশের তুলনায় গুনে গুনে হলেও ৩৪ গুণ বেশি। তবে সেপ্টেম্বর রিপোর্ট বলছে সেই সময় ভারত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। সেপ্টেম্বরে, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৭০৪.৮৯ বিলিয়ন ডলার। তবে এরপরের মাস থেকেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী হতে শুরু করে। ফলে আগের তুলনায় ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ভাণ্ডার কিছুটা হলেও কম।
আরও পড়ুনঃ ভরসা রাখুন এই ৫ Mutual Fund’য়ে! ১০ বছরেই পাবেন সর্বোচ্চ Return, বিনিয়োগের আগেই দেখুন
বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের কারণে বেড়েছে এই মুদ্রার হার: প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল নভেম্বর মাসে পরিশোধ করা হয়, যার পরিমাণ ছিল ১.৫০ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পায়। তবে গত মাসে রেমিট্যান্স ও রফতানির ফলে ফের বৃদ্ধি পেয়ে যায় বাংলাদেশের এই ভাঁড়। এর মধ্যে অবশ্য মোট ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ হল ১৪ বিলিয়ন ডলার। তবে নিয়ম অনুসারে যেকোনো একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে দেখতে গেলে কোন রকমে টেনেটুনে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও খুব বেশি লাভ হয়নি। এমনকি ভারতকে (India) টক্কর দেওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি ইউনূস সরকারের।
আরও পড়ুনঃ ফারাক্কার নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের ২ মাসের মধ্যে ফাঁসির সাজা! ১ জনের যাবজ্জীবন
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত অর্থনীতির দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত পঞ্চম থেকে তৃতীয় স্থানে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একসময় এই অর্থনীতির দিক থেকে ভারতের (India) অবস্থা ছিল ভঙ্গুর প্রায় দশা। আজ সমস্ত বাঁধা-বিপত্তি কাটিয়ে বিশ্বের মধ্যে রাজত্ব করছে আমাদের দেশ। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পাশাপাশি ফরেন কারেন্সি অ্যাসেট’-এর পরিমাণ প্রায় ৫৬৮.৮৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া সোনার রিজার্ভ রয়েছে ৬৬.৯৭৯ বিলিয়ন ডলার। সবমিলিয়ে ভারত অনেক এগিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের দিক থেকে।