একুশে ভিন্ন চিত্র! ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট BJP, কমিশনের উপর দোষারোপ তৃণমূলের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২০১১ সাল অর্থ্যাৎ প্রায় ১ দশক পর বাংলার নির্বাচনে ভিন্ন চিত্র দেখছে বঙ্গবাসী। এতদিন রাজ্যের সব নির্বাচনেই শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুট থেকে সন্ত্রাসের মত অভিযোগ তুলে সরব হত বিরোধী শিবির। তবে এবারের ভোটে দেখা গেল সকাল থেকেই তৃণমূল কখনও বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তো কখনও নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির আঁতাতের অভিযোগ তুলতে ব্যস্ত।

বাংলায় প্রথম দফা নির্বাচনে (1st Phase West Bengal Assembly Election) একাধিক কেন্দ্র থেকে উঠে এসেছে শাসক বিরোধী সংঘাতের খবর। কখনও তৃণমূল (TMC)  কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া তো কখনও বিরোধী প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদের গাড়িতে হামলার খবর। তবে যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিগত ১০ বছরের একাধিক নির্বাচনে ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়া থেকে শুরু করে গণনা কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট জ্বলিয়ে দেওয়ার মত অভিযোগ নিয়ে সরব হত বিরোধী দল গুলি।

Mamata Banerjee To Contest From Nandigram: Masterstroke Or Political Desperation?

সেখানে এবারের নির্বাচনে প্রথম দফা ভোটের দিনই একেরপর এক অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল শিবির। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পোলিং এজেন্ট বুথের বাইরের কাউকে না করার দাবি নিয়ে হাজির হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে তার ঠিক উল্টো চিত্র প্রধান বিরোধী দল গেরুয়া শিবিরে (BJP)। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), মুকুল রায় (Mukul Roy) থেকে থেকে শুরু করে বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত বলে দাবি করে, এমনকি তৃণমূল ভয় পেয়েই একেরপর এক অভিযোগ করছে বলেও জানানো হয় তাদের তরফে।

শনিবার সকালেই সবাইকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়ে টুইট করেছিলেন মোদী-অমিত (Modi & Amit Shah) এবং মমতাও (Mamata Banerjee)। তারপর প্রথম দফার নির্বাচনে দেখা যায়, বিকাল পর্যন্ত ৩০ টি আসনে ৭৯.৭৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। যা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয় বর্গী (Kailash Bijaybargi) দাবি করেছেন, আমরা কমিশনকে (Election Commission) ধন্যবাদ জানিয়েছি। বাংলার মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে।

পাশাপাশি, ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরই নির্বাচন কমিশনের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, সারাদিনের যে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে, তার জেরে ইতিমধ্যেই এখনও পর্যন্ত ২০ জন গ্রেফতার করা হয়েছে।


সম্পর্কিত খবর