দিঘায় জালে ধরা পড়ল শতাধিক তেলিয়া ভোলা, রাতারাতি কোটিপতি মৎস্যজীবী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কার ভাগ্যে কি লেখা আছে তা সত্যিই বলা মুশকিল! মাঝে মাঝেই খেটে খাওয়া মানুষদের লটারি জিতে লক্ষ্মীলাভের ঘটনা খবরের শিরোনামে আসে। কিন্তু, প্রাকৃতিক ভাবেও যে কোটিপতি হওয়া যায় তা দেখিয়ে দিলেন দিঘার এক মৎস্য ব্যবসায়ী।

শনিবারই বিপুল অর্থলাভ করেন ওই ব্যবসায়ী। সৌজন্যে তেলিয়া ভোলা মাছ। জানা গিয়েছে যে, প্রমাণ সাইজের প্রায় ১২১ টি তেলিয়া ভোলা মাছ ধরা পড়েছে মা বিশ্বেশ্বরী ট্রলারে। নিলামে যার বাজারমূল্য প্রায় কোটি টাকা ছাড়াবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, শনিবার ১২১ টি তেলিয়া ভোলা মাছ নিয়ে মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে হাজির হয় ওই ট্রলারটি। মাছগুলির প্রতিটির ওজন ছিল প্রায় ১৭ থেকে ১৮ কেজি। সাধারণত, গভীর সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে পাওয়া যায় এই মাছ।

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী গিরিশচন্দ্র রাউত জানিয়েছেন যে, “বছরের শুরুতেই তেলিয়া ভোলার ঝাঁক ধরা পড়ার খবরে খুশি মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এর আগে এমন আকারের তেলিয়া ভোলা ১২ থেকে ১৩ হাজারে বিক্রি হয়েছে। এই বারেও নিলামে ভালই দাম উঠবে বলে আশা করছি।”

boat news

এর আগেও গত বছরের অক্টোবর এবং নভেম্বরে দুই ব্যবসায়ীর ট্রলারে তেলিয়া ভোলা মাছ উঠেছিল। পাশাপাশি, এই মাছ তাঁদের রাতারাতি কোটিপতিও করে তুলেছিল। ফের সেই বিশাল আকারের মাছ জালে পড়ায় খুশি হয়েছেন মৎস্যজীবীরাও।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তেলিয়া ভোলার পটকা গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, মাছের ওজন যত বেশি, দামও ততই বেশি হয়। অত্যন্ত দুর্লভ এই মাছের নাগালও সহজে পাওয়া যায়না। তবে, দলবদ্ধভাবে থাকার কারণে মাঝে মাঝে বিপুল পরিমাণ মাছ জালে উঠে আসে। আর সেই কারণেই এই মাছ মৎস্যজীবীদের কাছেও অত্যন্ত আকর্ষণীয়।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর