বাংলা হান্ট ডেস্ক: দীর্ঘ দুমাস ধরে সরকারি নিষেধাজ্ঞার জেরে বন্ধ ছিল সমুদ্রের মাছ ধরা (Fishing)। আগামী ১৪ জুনের পর থেকেই সমুদ্রের মাছ ধরার ব্যান পিরিয়ড (Ban Period) উঠে যাওয়ার সাথে সাথে আবার ছন্দে ফিরতে চলেছে দীঘা (Digha)-শঙ্করপুর-মন্দারমণি (Mandarmani)-তাজপুরসহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকা। যার ফলে উপকূলবর্তী এলাকায় এখন মৎস্যজীবীদের মধ্যে মাছ ধরার প্রস্তুতি চলছে তুঙ্গে।
আগামী ১৪ জুন এই ব্যান পিরিয়ড উঠলে আবার মাছ ধরা ট্রলার পাড়ি দেবে বঙ্গোপসাগরের বুকে। টানা দু’মাস বন্ধ থাকার পর ব্যান পিরিয়ড উঠতে বাকি আর মাত্র এক সপ্তাহ। তাই তার আগে এখন সাগর পাড়ের মৎস্যজীবীদের এক দন্ড ডোম ফেলার সময় নেই। ট্রলারের রং করা থেকে শুরু করে, তেল ভরা, বরফ মজুদ করা কিংবা অন্যান্য সমস্ত সরঞ্জাম তৈরি করতেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন মৎসজীবীরা।
ব্যান পিরিয়ড উঠে যাওয়ার পর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে যাতে আর কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় তারই জন্য চলছে এই প্রস্তুতি। তাছাড়াও সমুদ্রে জালের বাধন যাতে কোন ভাবে আলগা না হয় তা নিশ্চিত করতেই শেষ মুহূর্তে শক্ত করে বাঁধা হচ্ছে জালের গিঁট। এই মুহূর্তে দীঘা, রামনগর,খেজুরি, মহিষাদল, কোলাঘাট সহ বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকায় মোট ৩০০-রও বেশি মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে।
আরও পড়ুন: OBC নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের জের! WBCS-সহ অন্যান্য চাকরির নতুন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিল রাজ্য
সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে পাড়ি দেওয়ার আগে এই সমস্ত টলার গুলিতে চলছে পূজো দেওয়ার পালাও। তাই আগামী ১৪ জুনের পরেই আবার শ’য়ে শ’য়ে মাছ ধরার ট্রলার পাড়ি দিতে চলেছে বঙ্গোপসাগরের বুকে । সাধারণত প্রতি বছরেই মাঝ এপ্রিল থেকে মাঝ জুন পর্যন্ত টানা ২ মাস মৎস্য প্রজননের জন্য সমুদ্রে নিষিদ্ধ থাকে মাছ ধরা। আর টানা দুই মাস সমুদ্র্রে মাছ ধরতে যেতে না পারায় বিরাট সমস্যায় পড়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় একটি বড় অংশের মৎস্যজীবি পরিবার।
তবে মৎস্যজীবীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়,তার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ-ও নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্প। ব্যান পিরিয়ডের এই দুই মাস ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের।