বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রথযাত্রা উপলক্ষ্যে এবার কোপ পড়ল ৫৪০টি গাছের ওপর। দিঘায় জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি যাওয়ার পথ তৈরি করতে (Digha Rath Yatra) এবার প্রায় সাড়ে পাঁচশো গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একদিকে আবহাওয়া পরিবর্তন, বিশ্ব উষ্ণায়নের মতো ইস্যু যখন অনেককে ভাবাচ্ছে, তখন এক ধাক্কায় ৫৪০টি পূর্ণ বয়স্ক গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত কতখানি যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দিঘায় (Digha Rath Yatra) ৫৪০টি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
এমনিতেই ঝাউবন কেটে ফেলার ফলে সৈকতে এখন তেমন সবুজের সমাহার চোখে পড়ে না। যে পূর্ণ বয়স্ক গাছেরা সমুদ্রের ভাঙন রুখে দিতে সক্ষম, তার ওপরই পড়ছে কোপ! এবার তো রথ (Digha Rath Yatra) যাওয়ার রাস্তা তৈরি করতে এক ধাক্কায় ৫৪০টি পূর্ণ বয়স্ক গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বোন দফতরের তরফ থেকে গাছ কাটার অনুমতি দিয়ে দেওয়া অয়েছে। এরপর গাছ কাটার বরাত দেওয়ার জন্য নিলাম ডাকা হবে। আগামী সপ্তাহ থেকে গাছ কাটা শুরু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ তিন জেলায় রমরমিয়ে ভেজাল তেলের বেআইনি ব্যবসা! এবার চরম নির্দেশ হাই কোর্টের
জানা যাচ্ছে, দিঘায় যে জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Mandip) তৈরি হচ্ছে তার থেকে কিছুটা এগিয়ে ২১ বর্গমিটার এলাকায় গাছ কাটা হবে। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পরিবেশমন্ত্রী গোলাম রব্বানিকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানেন না। তাঁর কথায়, ‘এই বিষয়ে আমার সঙ্গে কেউ কথা বলেনি। এত গাছ কাটার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানি না। খোঁজ নিয়ে এই ব্যাপারে যা করার করব’।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসন পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, আগামী বছর জগন্নাথ ধাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। প্রশাসনিক উদ্যোগে রথের দড়িতে টান পড়বে, জগন্নাথদেবকে নিয়ে এগিয়ে যাবে রথ। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা কাঁথির মহকুমা শাসক শৌভিক ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, ৫৪০টি গাছ কাটা হলেও ১০৫৮টি নতুন গাছও লাগানো হবে। যদিও একটি বড় গাছের সঙ্গে কীভাবে একটি চারাগাছের কার্যকারিতার সমান হতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
অন্যদিকে আবার গাছ কাটার পাশাপাশি দিঘায় যেখানে জগন্নাথ ধাম মন্দির তৈরি হচ্ছে, সেখানে বালিয়াড়ি কাটার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সুভাষ দত্ত বলেন, বন দফতর গাছ কাটার অনুমতি দিলেও যা খুশি তাই করা যায় না। জাতীয় পরিবেশ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।