বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর পর অভিভাবকদের চিন্তা লেগেই থাকে। ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছল কিনা, ছুটির পর বিদ্যালয় থেকে কখন বেরোচ্ছে এমন নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে মা-বাবার মনে। তবে এবার সেই চিন্তার অবসান ঘটতে চলেছে! কারণ এবার প্রাথমিকে (Primary School) চালু করা হয়েছে হাজিরার নয়া পদ্ধতি। খাতায় কলমে হাজিরার পরিবর্তে শুরু হল ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম (Digital Attendance)। ফলে অভিভাবকদের ফোনে চলে যাবে সকল তথ্য।
পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই চালু নয়া পদ্ধতি (Digital Attendance)
জানা যাচ্ছে, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ও তাঁদের ওপর নজরদারি বাড়াতে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স পদ্ধতি চালু করেছে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা বেনিয়াপুকুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্রে সেন্সর লাগানো রয়েছে। সেটি বায়োমেট্রিক যন্ত্রে (Biometric Machine) ঠেকানো মাত্রই অভিভাবকদের ফোনে মেসেজ চলে যাবে। সেই সঙ্গেই বিদ্যালয়ে কী পড়ানো হচ্ছে সেটাও জানতে পারবেন অভিভাবকরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গুসকরা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৬৩ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। প্রত্যেকের জন্যই ডিজিটাল হাজিরা (Digital Attendance) চালু করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর গোস্বামী বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য সরকারিভাবে ২০,০০০ টাকা খরচ করা হয়েছে। অনেকেই বিদ্যালয়ে আসার নাম করে খেলতে চলে যেত। অনেক সময় অভিভাবকরাও শিশুদের নিয়ে চিন্তায় থাকতেন। সেই জন্য এমনটা করা হয়েছে’।
আরও পড়ুনঃ অপেক্ষার অবসান! নতুন বছরেই বাড়বে DA? কতখানি বেতন বাড়বে সরকারি কর্মীদের?
রিপোর্ট বলছে, এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। আগেই এখানে কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার খাতায় কলমে হাজিরার পাট চুকিয়ে শুরু করা হল ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স পদ্ধতি। ছাত্রছাত্রীরা কখন বিদ্যালয়ে ঢুকছেন এবং কখন বেরোচ্ছেন, সেটা বাড়ি বসেই জেনে যাবেন অভিভাবকরা। জানা যাচ্ছে, এর জন্য প্রত্যেক মাসে ২০ টাকা করে দিতে হবে।
গত শুক্রবার সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা (Digital Attendance) পদ্ধতির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখোপাধ্যায়। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ের এমন ভাবনাকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। সরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে ডিজিটাল পরিষেবা চালু করতে পারেনি, সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় এই ধরণের পদ্ধতি চালু করে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। এর ফলে অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানদের নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন’।