বাংলাহান্ট ডেস্ক : হঠাৎই হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিংহ (Digvijay Singh) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) সকলের সঙ্গে কাঁধ কাঁধ মিলিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই এই বিপত্তি। তিনি পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দৌড়ে আসেন নিরাপত্তারক্ষী এবং সমর্থকরা। ধরাধরি করে তুলে দেন সকলে। তবে সংবাদ মাধ্যমের সুত্রে জানা যাচ্ছে বড় কোনও বিপদ হয়নি এই বয়স্ক রাজনীতিবিদের। উঠে দাঁড়িয়ে আবারও আগের মতোই হাঁটতে শুরু করেন দিগ্বিজয় সিংহ।
জানা যাচ্ছে, আজ হাঁটা শুরু করে ৪ কিলোমিটার যাওয়ার পর হঠাৎই চা খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে পড়েন রাহুল গান্ধী। হঠাৎ দাঁড়ানোয় ঠেলাঠেলির অবস্থা সৃষ্টি হয়। আর তখনই পড়ে যান মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ। এই পুরো ঘটনায় দিগ্বিজয় সিংহ নিজেও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে প্রায় আড়াই মাস ধরে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ চলছে। দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছে পদযাত্রা। তাতে কংগ্রেসের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে বলিউড পরিচালক মহেশ ভট্ট-কন্যা তথা অভিনেত্রী পূজা ভট্ট, রিয়া সেন থেকে অমল পালেকর, রেশমি দেশাই বা আকাঙ্ক্ষা পুরীদের মতো তারকাদের। বিনোদন জগতের তারকাদের পদযাত্রায় টেনে আনতে অর্থ ঢালা হয়েছে বলে দাবি করেছিল বিজেপি। কিছুদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রীতিমতো বিনোদন জুগিয়েছেন সকলকে।
৪৭ সেকেন্ডের একটি ভাইরাল ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে, রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভট্টের সুপারহিট ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর গানে নেচে উঠছেন দিগ্বিজয়। ‘কেশরিয়া’-র তালে তালে দিগ্বিজয়ের পাশে মেতে উঠেছেন দলীয় সহকর্মীরাও। কিছু ক্ষণ পরেই আবার অভিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমামালিনীর ‘শোলে’র গানে তাল মিলিয়েছেন এই কংগ্রেসি নেতা। এ বার সেই বিখ্যাত গান— ‘ইয়ে দোস্তি হম নেহি তোড়েঙ্গে’। সেই দিগ্বিজয় সিংহই এদিন হঠাৎ পড়ে যাওয়ায় চিন্তিত হয়ে উঠেছিলেন সকলেই।
প্রসঙ্গত, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে রাহুলের নেতৃত্বে এই পদযাত্রা শুরু হয়েছে। দেড়শো দিন ধরে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যে মোট ৩,৫৭০ কিলোমিটার হাঁটার কর্মসূচি রয়েছে এই কংগ্রেস সাংসদের। পথে তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র হয়ে মধ্যপ্রদেশে ঢুকেছে পদযাত্রা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দলীয় সংগঠন-সহ নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করার পাশাপাশি ভোটবাক্সে এর ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করাই লক্ষ্য কংগ্রেসের।