বাংলাহান্ট ডেস্ক : দু’দিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সম্মান জানিয়ে হাওড়ার উদয় নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর কুমার পাঁজা তাঁর ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেন। ফেসবুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাসিমুখের ছবি, তার নিচে লেখা ‘এই মানুষটাকে দেখেই দলটা করি’। এই পোস্টই নিজের টাইমলাইনে পোস্ট করেন উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক। দলনেত্রীকে সম্মান জানিয়ে দল থেকে ‘বিদায়’ চাইলেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক। এবার এই পোস্টকে ঘিরেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘আমি জানিনা এসব কি চলছে? কেউ বিদায় নেবে না। করে খাওয়ার জায়গা তো। এটায় বিদায় নিলে চলবে কি করে? মাঝেমধ্যে একটুখানি বিবাগী হয়ে মন খারাপের স্টেটমেন্ট দিয়ে আসার চেষ্টা বাকি আর কিছুই না।’
এদিন মহালয়া তিথিতে শুভকামনাও জানান দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি হিংসা মৃত্যু খুন কমপক্ষে মহালয়া শুরু হয়ে গেল পুজো আসছে এখান থেকে যেন আমরা একটু পার পাই এবং শান্তিতে আনন্দে যেন সবাই পুজো কাটাতে পারে। মায়ের কাছে প্রার্থনা করি সবাই ভালো থাকুন, ভালোভাবে পুজো দেখুন।’
মহালয়ার দিন চারেক আগেই শহরে বেশ কয়েকটি বড় পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীভূমি, সল্টলেক, টালা পার্কে তাঁকে পুজো উদ্বোধন করতে দেখা গিয়েছে। আর এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ইউনেসকো-র ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজের তকমা পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। তাই ১ সেপ্টেম্বর শহরের বুকে বড় মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুর্গপুজোর সময় কলকাতায় থাকবেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। তাঁরা ঘুরে দেখবেন দুর্গাপূজা।
এদিন ইউনেসকো ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে যেভাবে দড়ি টানাটানি হচ্ছে সেটা কাঙ্ক্ষিত নয়। এতে রাজ্যের কি ভূমিকা ছিল? আন্তর্জাতিক বিষয়। কেন্দ্র না এগিয়ে এলে এটা কি আদৌ হত? সবাই জেনে গেছেন কার গবেষণার ফসল এটা। আজ আমাদের মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এতো বড় মহান ব্যাপারে এই তুচ্ছ রাজনীতির কোনো জায়গা নেই।’