বাংলাহান্ট ডেস্ক : দলের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই চাপানউতর চলছে তৃণমূলের অন্দরে। সম্প্রতি শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ খুলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার মডেলেরও বিরোধীতা করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। এবার সেই ইস্যুতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান তিনিও একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নেত্রী বলে মানেন। তাই কল্যাণের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বের জায়গাই নেই। বরং তৃণমূলে যে গণতন্ত্র রয়েছে এই মতবিভেদ তারই প্রমাণ।
গোয়ার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গোয়া সফরকালিন পানাজিতে সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কাউকে নেত্রী হিসেবে মানেন না। এতে অসুবিধার কী আছে? তিনি তো ঠিকই বলছেন। আমিও বলছি আমার নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমিও বাকি কাউকে মানি না। উনি যদি আমার বিরুদ্ধে কথা বলেন, তবে প্রমাণিত আমাদের দলে গণতন্ত্র আছে।’ সেখানে নিজের ডায়মন্ড হারবার মডেল সম্পর্কে সাফাইও দিতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি জানান সময় বাঁচাতে এবং সংক্রমণ রুখতেই সেল্ফ টেস্টের দিকে জোর দিয়েছেন তিনি।
এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই তাঁকে একহাত নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিল্লি যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে তিনি বলেন, ‘ কে কার নেত্রী কে কার নেতা এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু এভাবে কী আর ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যায়! মাথাতেই ঘা হয়ে গিয়েছে। সর্বোচ্চ স্তরের নেতাদের নিজেদের মধ্যে এই কাদা ছোড়াছুড়ি থেকে একথা স্পষ্ট যে দলটার কোনো শৃঙ্খলা নেই।’
কল্যান ব্যানার্জীর পাল্টা দিলেন অভিষেক @KunalGhoshAgain @abhishekaitc pic.twitter.com/f3vIXYcSES
— Bangla Hunt (@BanglaHunt) January 20, 2022
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিষেক বিরোধীতার পর তাঁর বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূলের একাংশ। তাঁর অপসারণ দাবিতে পড়ে পোস্টারও। পোড়ানো হয় কুশপুত্তলিকা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের এহেন সক্রিয়তা দেখে তৃণমূল শিবিরে ভাঙনেরই ধারণা করেছিল বিরোধীরা। কিন্তু অভিষেকের বক্তব্যে যে একেবারেই নস্যাৎ হয়ে যায় সেই সম্ভাবনা, তা বলাই বাহুল্য।