বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আবারও বাংলার ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল শিবির। হ্যাট্রিক করে তৃতীয় বার বাংলার মসনদে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। অন্যদিকে ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বাংলা জয়ের স্বপ্ন কার্যত ধূলিস্মাৎ হয়ে যায় বিজেপি শিবিরের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বাংলায় তৃণমূলের এই ঐতিহাসিক জয়ের রহস্য শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী ক্যারিশ্মা। বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। কিন্তু এই দাবি একেবারেই মানতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। উল্টে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকেই প্রধান্য দিলেন ঘোষবাবু।
দিলীপ ঘোষের মতে, ‘পেছনের দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ভারতে আজ পর্যন্ত এমনটা দেখা যায়নি। মানুষ যা বলার বলেছে, ভোটেই মমতাকে হারিয়ে দিয়েছে। দেখুন মেদিনীপুর কিন্তু বাংলায় মেয়েকে চায়নি’।
তৃণমূলের সাফল্যের কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রীকে না দিয়ে পিকেকে দিলেন দিলীপ ঘোষ। শুধুমাত্র কৃতিত্ব দেওয়াই নয়, সঙ্গে পিকেকে কটাক্ষও করলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘সমস্তটাই পিকের জন্য হয়েছে। অন্যায়ভাবে, মিথ্যা প্রচার করে, মানুষকে বিভ্রান্ত করে এই জয় হাসিল করেছে পিকে’।
তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গলমহলের আদিবাসী আদিবাসীদের প্রতি মাসে হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা দিয়ে, ভোটের আগে একবার দিয়েই তা বন্ধ হয়ে গেছে। মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, তাও এখন বন্ধ। মানুষ ভেবেছে ৫-১০ বছর কিছু দেয়নি, তবে এখন কিছু তো দিয়েছে। তাহলে হয়তো পরেও দেবে। কিন্তু এভাবে ভোটে জিতে গেলেও, এটা কি ধরণের রাজনীতি করছে?’