বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শীতলকুচি কাণ্ডে মন্তব্যের জের। ফল ভুগছে শাসক এবং বিরোধী উভয় শিবিরই। ইতিমধ্যেই মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বিজেপির (BJP) তাবড় তাবড় নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই মত সোমবার রাত আটটা থেকে মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। তবে প্রচারে না বেরোলেও গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে ধরনা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পূর্ব ঘোষিত সূচির অনেক আগেই মঙ্গলবার ধরনাস্থলে পৌঁছে যায় মমতা (Mamata Banerjee)। সেখানে গিয়ে বসে বসে ছবি আঁকতে থাকেন তিনি। আর সেই ছবি আঁকা নিয়েই তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমোকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এদিন মন্তব্য করেন, ‘ভোটের ফলাফল ঘোষণা অর্থাৎ ২ মের পর শুধুই ছবি আঁকতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর কোনও কাজ থাকবে না। তাই উনি এখন থেকেই অভ্যাস করুন।’
উল্লেখ্য, আজ অর্থাৎ বুধবার সকালে বর্ধমানের (Bardhaman) নীলপুরে ‘চায়ে পে চর্চা’য় যোগ দিয়ে মুখমন্ত্রীকে এভাবেই কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। একইসাথে এই বুধবার সকালে গতকাল রসিকপুরে তাঁর র্যালী লক্ষ্য করে হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একাধিক জায়গায় গুন্ডারা গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে ভয় দেখিয়ে আর ভোটারদের প্রভাবিত করা যাবে না, আমরা কারও দলীয় কার্যালয়ে আক্রমণ করিনা।’
এর পাশাপাশি তৃণমূলের (TMC) নাম উল্লেখ করে, তিনি আরও বিঁধে বললেন, ‘কালকে ওরা হামলার চেষ্টা করেছিল। তবে আমাদের ছেলেরা আটকেছে। এবার সাধারণ মানুষ যা করার করবে।’ তারপরই দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি, ‘শুধু বর্ধমান কেন। রাজ্যের কোথাও এই গুন্ডামি চলতে দেব না’।