বাংলা হান্ট ডেস্ক : দশমীর দিন সকালে জিয়াগঞ্জের শিক্ষক এবং তাঁর পরিবারের খুনের ঘটনার এক সপ্তাহ পরে অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন মূল অভিযুক্ত উত্পল বেহরা। টানা এক সপ্তাহের ম্যারাথন তল্লাশি ও তদন্তের পর অবশেষে মঙ্গলবার মূল অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের এই তদন্তকে সাত দিনের বানানো গল্প বলে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জনতার চাপে চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা চলছে এটা মুখরক্ষার কৌশল, ঠিক এই ভাষাতেই কার্যত কটাক্ষ করলেন দিলীপ।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার অর্থা দশমীর দিন সকালে নিজের বাড়িতেই খুন হন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পাল এবং তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী ও এক শিশুসন্তান। এই ঘটনার দিন থেকেই বন্ধু প্রকাশ পালকে আরএসএস এর সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করে আসছে বিজেপি পাশাপাশি এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে গেরুয়া বাহিনী এবং বিষয়টিকে রাজনৈতিক খুন বলে দাবি করে আসছিল প্রথম থেকেই। যদিও টানা সাত দিনের তদন্তের পর পুলিশের হাতে মূল অভিযুক্ত পাকড়াও হওয়ার পর বিজেপির সেই দাবি কার্যত নস্যা হয়ে গিয়েছে।
তবে পুলিশের এই সাফল্যকে মোটেও মদত দিতে চান না বরং পুলিশ তদন্তধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এটিকে বানানো গল্প বলে মানুষের কতটা বিশ্বাসযোগ্য হবে তা তিনি জানেন না এমনটাই বলেছেন দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে মাত্র আটচল্লিশ হাজার টাকার জন্য একজন কী ভাবে এক পরিবারের তিন সদস্যকে এভাবে খুন করতে পারল? তা কেউ টের পেল না? এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে এটি মুখরক্ষার চেষ্টা বলে জানান দিলীপ।
তবে প্রথম থেকে যে রাজনৈতিক খুনের দাবি জানিয়ে আসছিল বিজেপি তা থেকে খানিকটা সরে এসেছেন দিলীপ ঘোষ, বরং এক কদম এগিয়ে সত্য সকলের সামনে আসা উচিত বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিষয়টি অনেক জটিল করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও মত প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য আট চল্লিশ হাজার টাকা পেতেন ধৃত উত্পল বিহার, তাই সেই টাকা যখন সে চাইতো তখনই অকথ্য ভাষায় নাকি গালাগালি দিতেন বন্ধু প্রকাশ পাল আর তার জেরেই এই খুনের ঘটনা প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে।