বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে গরু পাচার মামলা, একের পর এক উঠে আসা দুর্নীতি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা মন্ত্রীরা। সম্প্রতি, স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পরবর্তীতে আবার গরু পাচার মামলায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। বর্তমানে এই সকল মামলায় যখন একের পর এক বিতর্ক ডানা বেধে চলেছে, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পার্থ-অনুব্রতকে কটাক্ষ করে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
শাসক দলকে আক্রমণ করা হোক কিংবা নিজের দলের বিরুদ্ধেই বেফাঁস মন্তব্য, সর্বদাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন দিলীপ ঘোষম সম্প্রতি সিবিআই প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন দিলীপবাবু। সিবিআইয়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সেটিং’ তত্ত্ব খাড়া করে বিতর্ক বহুগুনে বাড়িয়ে দেন তিনি আর এদিন তদন্তকারী সংস্থা প্রসঙ্গে আরো একবার মন্তব্য করে বসলেন দিলীপ।
এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, “সিবিআই ঠিক করেছে এক কুইন্টাল না হলে তুলবে না।” দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যের পিছনে কারণ কি? বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনি আসলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করেই একথা বলেছেন। উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওজন ১১১ কেজি, যেখানে অনুব্রতর ক্ষেত্রে সেটি ১২০!
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, কেরল এবং দিল্লির মতো একাধিক বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে দুর্নীতি মামলায় সিবিআই এবং ইডি সক্রিয় হয়ে পড়েছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে এটিকে বিজেপির দ্বারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার ষড়যন্ত্র বলা হলেও এদিন সেই সকল অভিযোগ করিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “আসলে বর্তমানে গোটা ভারত জুড়ে শুদ্ধিকরণ চলছে। এক্ষেত্রে মোটা মোটা লোক তোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউ দুর্নীতি করে থাকলে ছাড় পাবে না। সকলের শাস্তি হবে।”
তবে শুধুমাত্র দিলীপ ঘোষ নন, বর্তমানে দুর্নীতির ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসকে একঘরে করতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি। এক্ষেত্রে সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পার্থ এবং অনুব্রত বর্তমানে জেলে রয়েছে। এবার ফিরহাদ হাকিম যোগ দেবেন।” অপরদিকে, বিরোধী দলগুলি দ্বারা ‘চোর ধরো জেল ভরো’-র মতো কর্মসূচি আয়োজন করা হয়ে চলেছে। ফলে সব মিলিয়ে দুর্নীতি প্রসঙ্গে একের পর এক বিতর্ক এবং এদিনকার দিলীপ ঘোষের মন্তব্য বিতর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি আরো বৃদ্ধি করবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।