বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হেস্টিংসের কাছে ২ নম্বর সেন্ট জর্জেস গেট রোডের ১০ তলা ‘আগরওয়াল হাউস’-এর মোট পাঁচটি তলা ভাড়া নিয়েছিল বিজেপি (bjp)। সেই হেস্টিংসেই গড়ে উঠেছিল বিজেপির কলকাতার দফতর। একুশের নির্বাচনে জয়ের স্বাদ পেয়ে, বড় আকারের দলীয় দফতর তৈরি করার স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি শিবির। কিন্তু নির্বাচনে পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে, এবার এই কলকাতার দফতরেও কাটছাঁট করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)।
সূত্রের খবর, অর্থসঙ্কটেই এই সঙ্কোচন করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। নির্বাচনের সময় বড় মাপের খরচের পর এবার হেস্টিংসের কার্যালয়কে অর্থাভাবে সংকুচিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। খরচ কমানোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মূলত তিনটি পদ্ধতিতে বিজেপির অর্থ সংগ্রহ করা হত। প্রথম পদ্ধতি, কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের থেকে চাঁদা তোলার রসিদ বই ও কুপনের মাধ্যমে টাকা নেয় বিজেপি। আবার বিজেপির ফান্ডে টাকা দিলেন, আয়করে ছাড় মেলায় অনেকেই মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতেন। আবার চেকের মাধ্যমেও টাকা নেওয়া হত।
দ্বিতীয় পদ্ধতি হল, প্রতি বছর ১১ ই ফেব্রুয়ারি দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মৃত্যুদিনে ‘সমর্পন দিবস’ পালন করার ফলে, গেরুয়া শিবিরের ফান্ডে টাকা দান করত কর্মী সমর্থকরা। আর তৃতীয়ত হল, সাংসদ ও বিধায়কদের বেতনের একটা বড় অংশ নেয় দল। কিন্তু নানা কারণে অর্থ সংগ্রহ না হওয়ায়, বর্তমানে অর্থ সঙ্কট সঙ্কোচন করতেই, কার্যালয় ছোট করতে চাইছে পদ্ম শিবির।
জানা গিয়েছে, হেস্টিংসে ‘আগরওয়াল হাউস’-র মোট ৫ টি তলা ভাড়া নিয়ে নির্বাচনী দফতর সাজিয়েছিল বিজেপি শিবির। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ভরাডুবির পর আগেই দুটি তলা ছেড়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর বর্তমানে আরও একটি তলা ছেড়ে দিয়ে অর্থ সংকট মেটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এখন শুধুমাত্র একটি তলায় থাকছে দফতর এবং অন্য একটি তলা সাংবাদিক বৈঠক-সহ অন্যান্য বড় সভার জন্য রাখা হয়েছে।