বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে একজন তিনি। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন বাংলায় উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে BJP-র। উনিশের লোকসভা ভোটে চমকপ্রদ ফলাফল, একুশের বিধানসভা ভোটে বিরোধী দলের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে পদ্ম শিবির। যদিও তারপর বদলে যায় সম্পূর্ণ চিত্র। এবারের ভোটে ‘সাংসদ’ তকমাটাও হারিয়েছেন দিলীপ। আর তারপরেই ‘টাটা বাই বাই’য়ের কথা বললেন তিনি।
রাজনীতি ছাড়ার কথা বললেন দিলীপ ঘোষ
‘আগেই শোনা গিয়েছিল, BJP শিবিরে ‘পদহীন’ দিলীপের গুরুত্ব ক্রমেই কমছে। এবার সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বললেন, ‘এভাবে আমি থাকতে পারব না। যদি আমার জন্য নির্দিষ্ট কোনও কাজ না থাকে তাহলে রাজনীতিকে টাটা বাই বাই বলে দেব’। অন্যভাবে সমাজসেবা করার কথাও বলেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের রেজাল্ট বেরনোর পর একবারই দলের নতুন রাজ্য দফতরে গিয়েছিলেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। এরপর কোর কমিটির বৈঠকের পর রাজ্য সফরে বেরিয়ে পড়েন। দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর কলকাতা ফিরে এলেও দাপুটে এই নেতার সঙ্গে রাজ্যদলের তরফ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি বলে জানান দিলীপ অনুগামীরা।
আরও পড়ুনঃ ১৫,০০০ অতীত, এবার ২৫,০০০! চাকরিজীবীদের জন্য বিরাট সুখবর, অ্যাকাউন্টে ঢুকবে মোটা টাকা!
মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ বলেন, ‘অন্য কারোর মতো ‘প্রাক্তন’ পরিচয় নিয়ে আমি কাজ করতে পারব না। দলে যতক্ষণ আছি, ততক্ষণ কাজ করে গেলেও একটা সময় পর তো সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। রাজনীতি ছাড়াও সমাজের প্রচুর কাজ রয়েছে’। সিদ্ধান্ত কবে ঘোষণা করবেন জিজ্ঞেস করা হলে দিলীপ বলেন, ‘আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করব। দলের তরফ থেকে কিছু জানানো হয় কিনা সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি। তবে আমি কাজ করে যাচ্ছি। আজও নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার কথা আছে আমার। তবে অপেক্ষা করারও একটা সীমা থাকে’।
জানা যাচ্ছে, রাজনীতি ছেড়ে অন্য কাজে যাওয়ার কথা ইতিমধ্যেই নিজের ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন দিলীপ। এমনকি এই দাপুটে নেতার মূল সংগঠন RSS-কেও এই বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যাদের বলা প্রয়োজন, তাঁদের আমি বলে দিয়েছি। এভাবে কাজ করতে পারব না। আমায় অন্য সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হলে সেখানে আমি যেতে পারি। সেটা যদি না হয় তাহলে আমি নিজেই ঠিক করে নেব কোন ধরণের কাজ করা যায়। আমি বসে থাকতে পারব না’।
শীঘ্রই কি নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ঘোষণা করবেন দিলীপ? উত্তরে BJP নেতা বলেন, ‘সব কিছু ঘোষণা করে করার প্রয়োজন পরে না। যদি ভালো কাজ হয় তাহলে এমনিই মানুষ বুঝতে পারে। তবে বর্তমানে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যেও কিছু বদল হতে পারে। সেসব দেখার পরেই সিদ্ধান্ত নেব’। এদিন দিলীপের মুখে ‘অন্য ভাবে সমাজের সেবা’ করার কথাও শোনা যায়। মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদকে জিজ্ঞেস করা হয়, তাহলে কি নতুন কোনও রাজনৈতিক দল করবেন? উত্তরে শুধু বলেন, রাজনীতি ছাড়া কি আর কিছু হয় না নাকি! যথা সময়ে সিদ্ধান্ত নেব, সেটা সবাই জানতে পারবেন।