বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এর উপর হামলার প্রতিবাদে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি মন্তব্য করে বলেন ‘হেরে যাওয়ার ভয়েই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল।’ শুধু তাই নয় এর সাথে সাথে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন যে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে পুলিশ, এমনকি মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টাও করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ ঘোষ।
এদিন দিলীপ বাবু আরও বলেন, ‘করিমপুরে এবারের বিধানসভা উপনির্বাচন খুব বড় লড়াই। সঙ্গে তৃণমূলের অস্তিত্বেরও লড়াই। এই ভোটে তৃণমূল হারবে। সেই ভয়েই হামলা। সকাল থেকে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে হয়রানির অভিযোগও করেছেন তিনি।’
আজ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার কে পিপুলখোলার ঘিয়াঘাট ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথের পাশের জঙ্গলে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গ টেনে এনে দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল এবার এর বিধানসভা উপনির্বাচনে সেখানে হারবে, প্রশাসনের পরিস্থিতি দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিন দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলে জানিয়েছেন যে ‘কোথায় সংবিধান, কোথায় গণতন্ত্র।’ এই ভোটের পরেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আসল রূপ সামনে চলে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, করিমপুরে বিধানসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা উত্তেজনা ছড়াতে মাঠে নেমে পড়ে। করিমপুরে একটা বড়ো ঘটনা ঘটতে পারে তার আভাস সকাল থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। আর একটু বেলা বাড়তেই উৎপাত শুরু করে তৃণমূল। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর আক্রমন করে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। তারিকুল শেখ, হাবিবুর রহমান শেখ, মাসাদুল আলম, কালাউদ্দিনের নেতৃত্বে বিজেপি নেতার উপর হামলা চালানো হয়।
আক্রমনের সময় পুলিশ ও কেন্দ্রবাহিনী দুই উপস্থিত ছিল। কিন্তু তারা শুধুমাত্র দর্শক হয়ে থেকে যায়। দুপুরে ঘিয়াঘাট ইসলামপুর বিদ্যালয়ে এসে বেশকিছু সন্দেহজনক ঘটনা চোখে পরে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশের। বুথের মধ্যে এক পোলিং এজেন্টের কাছে দূটি ফোন, বুথ এর পাশের ঘরে ১১ জন মিলে রান্না করতেও দেখেন জয়প্রকাশ। আর এর প্রতিবাদ করা মাত্র পরিস্থিতি ঊত্তপ্ত হয়ে উঠে। গুন্ডা বাহিনী জয়প্রকাশকে মারধর করতে শুরু করে। কিল, চড় মেরে তাকে ঝোঁপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়।