‘দিদির দূতেরা এলে গাছে বেঁধে রাখুন’, ফের নিজের পুরনো ফর্মে দিলীপ ঘোষ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে ফের বেলাগাম ঘোষ বাবু। বেফাঁস মন্তব্য করে আবারও বিতর্কের শিরোনামে বঙ্গ বিজেপির (BJP) অন্যতম প্রধান সৈনিক দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। এবার তৃণমূল (Trinamool) নেতাদের বেঁধে রাখার নিদান শোনা গেল বিজেপি সাংসদের মুখে। আর তাতেই শোরগোল রাজনীতির অন্দরে।

সম্প্রতি ২৩ পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। যার মধ্যে অন্যতম একটি হল ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’, যেখানে সাধারণ মানুষের সমস্যা নিরাময় করতে দিদির দূতেরা (তৃণমূল নেতা) খোদ পৌঁছে যাবেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। মুশকিল আসান রূপে হাজির হবেন তাঁরা জনসাধারণের যেকোনো সমস্যায়। এমনটাই জানানো হয়েছে তৃণমূল তরফে। এদিন এই দিদির দূতদের নিয়েই বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন দিলীপ ঘোষ।

রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) নারায়ণগড়ের কুশবাসান এলাকায় একটি জনসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি শিবির। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এরপর সভামঞ্চ থেকে শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “মোদিজি বলেছেন সব রাস্তা পাকা করে দাও। সব বাড়ি পাকা করে দাও। কিন্তু এখানে এসে দেখছি, না রাস্তা আছে, না বাড়ি। কিন্তু এখানকার মানুষের অন্যায়টা কী।”

এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপি নেতা। এরপর তিঁনি আরও বলেন, “দিদির দূতরা বাড়িতে এলে জিজ্ঞেস করবেন, কেন পাকা বাড়ি, রাস্তা হয়নি। ভোট দিয়েছি আমরা আর পাকা বাড়ি হয়েছে আপনাদের। এবার দিদির দূতেরা ভোট চাইতে এলে নারকেল নাহলে ইউক্যালিপতটাস গাছে বেঁধে রাখবেন।”

দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি সাংসদের এহেন মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করে তৃণমূলের ডাক্তার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “দিলীপবাবু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এখন নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে অনেক কথা বলছে। ওনারা যত এসব বলবে তত মানুষের তৃণমূলের প্রতি আস্থা বাড়বে।”

dilip ghosh.

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। নিজের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণের জন্য সর্বদাই সংবাদের শিরোনামে জায়গা করে নেন বিজেপি নেতা। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে ফের ফুল ফর্মে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর