ব্রিগেডের মঞ্চে অধীর চৌধুরী ও আব্বাস সিদ্দিকীর মধ্যে দেখা গিয়েছিল স্নায়ুযুদ্ধ। বাম-কংগ্রেস ও ISF এর জোট নিয়ে আশঙ্কার ছায়া তৈরি হয়েছিল। সবথেকে লক্ষণীয় বিষয় ছিল এই যে, আব্বাস সিদ্দিকী মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময় বাম নেতাদের নাম নিলেও অধীর চৌধুরীর নাম মুখে নেননি বরং উল্টে শুনিয়ে দিয়েছিলেন বেশকিছু কড়া শব্দ।
আর এখন এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে অধীর চৌধুরীকে বড়ো প্রস্তাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ বলেছেন অধীর চৌধুরী একজন বড়ো মাপের নেতা কিন্তু তা সত্ত্বেও উনাকে অপমানিত হতে হয়েছে। তাই উনার বিজেপিতে চলে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপিতে অধীর চৌধুরীর মতো নেতার জায়গার অভাব হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে অধীর চৌধুরকে বড়োসড়ো প্রস্তাব দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
ব্রিগেডে কি ঘটেছিল সেদিন?
ব্রিগেডের মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন অধীর চৌধুরী। ভাষণ দিতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, এত বড়ো জনসভায় নিজের বক্তব্য রাখতে পেয়ে তিনি খুবই খুশি। এসব কিছু বলার মধ্যে ব্রিগেডের জনসভায় এন্ট্রি নেন ISF এর নেতা আব্বাস সিদ্দিকী। আর এরপরেই ঘটে গন্ডগোল।
মহম্মদ সেলিম প্রস্তাব দেন যে আব্বাস সিদ্দিকী কিছু বলে নিক এরপর অধীর চৌধুরী আবার নিজের বক্তব্য জারি রাখবেন। এতে রীতিমতো অসম্মানিত বোধ করেন অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরী বলেন যে তিনি আর বলবেন না। যদিও বিমান বসু পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করেন। বিমান বসুর অনুরোধে অধীর চৌধুরী নিজের বক্তব্য সম্পূর্ণ করেন।
গন্ডগোল এখানেই থামেনি, আব্বাস সিদ্দীকি নিজের বক্তব্য শুরু করতে গিয়ে মহম্মদ সেলিম ও বিমান বসুর নাম নিলেও অধীর চৌধুরীর নাম নেননি। শুধু নয়, আব্বাস সিদ্দিকী বলেন আমরা ভিক্ষা চাইতে আসিনি অংশীদারী নিতে এসেছি।