বাংলাহান্ট ডেস্ক : বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে এবার সিপিএমকে এক হাত নিলেন দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর কার্যতই কমিউনিস্টদের নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। তাঁর দাবি কমিউনিস্টরা কাঁকড়ার মতন, তাই কাউকেই উপরে উঠতে দেয় না।
এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উনি শুধু রাজনীতিক নন। সাহিত্যিকও বটে। শুরুতেই দল বলে দিল,নেওয়া যাবে না। উনি দলের অনুশাসন মেনে নিলেন।’ জ্যোতি বসুকেও প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি দল, এমনটাও দাবি করেন তিনি। তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ও একই ঘটনায় শিকার। দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। কিন্তু এটা ভুলে যাবেন না যে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর মেয়ে দলের নেতাদের বাড়িতে ঢুকতে দেন নি’।
গত ২৫ জানুয়ারি প্রকাশিত হয় এবছরের পদ্মভূষণ প্রাপকদের নামের তালিকা। সেই তালিকায় নাম ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যেরও। কিন্তু শয্যাশায়ী অবস্থাতেই এই খবর পাওয়া মাত্রই পদ্মভূষণ প্রত্যাহার করেন তিনি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জানান, ‘পদ্মসম্মান নিয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে এই নিয়ে কেউ কিছু বলেনি। পদ্মভূষণ দেওয়া হলে আমি তা প্রত্যাখ্যান করছি’। তাঁর এই বক্তব্যের পর থেকেই হৈচৈ পড়ে যায় দেশজুড়ে।
কেন্দ্রের দাবি, ২৫ জানুয়ারি বিকেলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে ফোন করা হলে তাঁর স্ত্রী মীরা দেবী অসম্মতিসূচক কিছু বলেন নি। যদিও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নাম তাঁর অনুমতি ছাড়া তালিকা অবধি পৌঁছালো কীভাবে, তা নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
তাঁর এই প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানান বিমান বসুও। যদিও দিলীপ ঘোষের অবশ্য দাবি, এভাবেই চিরকাল দেশের সংস্কৃতিকে অপমান করে এসেছে কমিউনিস্টরা।