বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠক। আর তাতেই ওলটপালট হয়ে গিয়েছে সব। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) এহেন কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেননি বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা। প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অনেকে। পাল্টা সুর চড়িয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিও। এই আবহে জানা যাচ্ছে, বিজেপির (BJP) কোনও বৈঠকে ডাকা হবে না দিলীপকে। অফিশিয়াল ঘোষণা না হলেও সূত্র মারফৎ এমনটাই খবর।
বিজেপিতে ‘বয়কট’ হওয়া নিয়ে অকপট দিলীপ (Dilip Ghosh)!
বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে হাজির হয়েছিলেন সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সেখানে উপস্থিত হন বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে হাসিমুখে বৈঠক করতে দেখা যায় দু’জনকে। আর তাতেই ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। এই আবহে আগামী ৬ মে বিজেপির রাজ্যস্তরের বৈঠক রয়েছে। সেখানে দিলীপকে ডাকা হবে না বলে খবর।
সূত্রের দাবি, আগামী ৬ মে-র বৈঠকের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের কোনও বৈঠকেই আর প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ডাক পাবেন না। তাঁকে সম্পূর্ণ ‘বয়কটে’র সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এই নিয়ে বিশেষ ভাবিত নন পদ্ম নেতা। শনিবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে তিনি পাল্টা বলেন, ‘গত ৩ বছর ধরে দলের কোন কর্মসূচিতে আমি থাকি?’
আরও পড়ুনঃ উদ্বোধনের পরেই ধাক্কা!পুরীর মন্দিরের পবিত্র নিমকাঠ দিঘায় ‘পাচার’? এবার তদন্ত করে দেখবে ওড়িশা
কিছুটা থেমে আবার বলেন, ‘আমি নিজেই নিজের কর্মসূচি তৈরি করি’। মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদের কথায়, ‘আমি কারোর সমর্থন চাই না। নিজের আদর্শ মেনে আমি কাজ করি’। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ‘পাবলিক প্রোগ্রাম ছাড়া সব কর্মসূচি লেখা থাকে না’।
দিলীপ এদিন বলেন, ‘আমি সকালে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দেখা করি। সারাদিন নানান অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছি। সামাজিক অথবা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাই। শুক্রবারও বাইরেই ছিলাম। এছাড়া সকাল থেকে কত মানুষ দেখা করতে আসেন। তাঁদের সময় দিতে হয়। সেটা তো কর্মসূচির মধ্যে থাকে না’। খানিক মুচকি হেসে তাঁর সংযোজন, ‘এছাড়া বিশ্রামেরও তো দরকার আছে’।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিজেপিরই একাংশের নিশানায় দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। শুক্রবার তাঁকে নিয়ে মুখ খোলেন বিধায়ক তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক দিন্দা (Ashok Dinda)। এই বিষয়ে দিলীপের সটান জবাব, ‘কী হচ্ছে দেখে রাখুন। আগে এই রকম অনেকে বলেছে। পরে পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। যারা হঠাৎ বিজেপি তাঁরা অনেক কিছু বলবে। তার জবাব দেওয়ারও প্রয়োজন নেই’।
উল্লেখ্য, গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আবার শোনা যাচ্ছে, তাঁর রিসেপশন তথা ‘বিবাহোত্তর সংবর্ধনা’ পর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে যদি তৃণমূল সুপ্রিমো ও দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হাজির হন, তাহলে রাজ্য রাজনীতিতে যে আরও এক দফা ঝড় উঠবে তা বলে দিতে হয় না।