বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্য জুড়ে তোলপাড় গ্রুপ সির ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের ঘটনায়। একের পর এক চাঞ্চল্যকর নাম সামনে আসছে প্রায় প্রতিদিনই। চাকরি গেছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝির। তেমনই সামনে এসেছে বিজেপির নেতা দুলাল বরের মেয়ের নামও। এইসব নাম সামনে আসার পরই চাকরি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ চাকরি বাতিলের তালিকা কতটা ঠিক তা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুল দিলেন। শনিবার সকালে নিউটাউন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপি নেতা দুলাল বরের মেয়ের চাকরি গেছে। হতেই পারে। আমার কাছে একজন ফোন করে বলল, আমি টাকা দিইনি। নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছি। আমারটাও চলে গেছে।’
এরপর দিলীপবাবু আরও বলেন, ‘আমি তাঁকে পরামর্শ দিয়েছি, আপনি কেস করুন। যে লিস্ট বেরোচ্ছে তা একেবারে সঠিক, তা ভাবারও কোনো কারণ নেই। দু-তিনটে করে লিস্ট বেরিয়েছে। কোনটা ঠিক, দেখতে হবে।’ অর্থাৎ আদালতের নির্দেশের পর যে তলিকা প্রকাশ পেয়েছে তার বৈধতা নিয়েই মুখ খুললেন তিনি।
দিলীপ ঘোষ এদিন তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝির নাম তালিকায় থাকা নিয়েও। ‘তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝির চাকরিও বাতিল হয়েছে। এরা টাকাও নিয়েছে। আবার চাকরিও নিয়েছে। শুধু পিসির ভাইঝিই নয়, কত নাম বলব। অনুব্রতর মেয়ে, শ্রীকান্তর ভাই, বহু নেতা আছে। লিস্ট বেরিয়েছে। এই চাকরি যাওয়ার বিষয়ে সম্পর্কগুলো এখনও বুঝতে পারছি না। তবে সবই সামনে আসবে। ক্রমশ প্রকাশ্য। দেখা যাবে এদের আশেপাশের বহু লোককে খুঁজে পাওয়া যাবে। সবে তো শুরু। পিকচার আভি বাকি হ্যায়।’
এদিন দিলীপ ঘোষ একের পর এক তৃণমূল নেতার ইডির জালে ধরা পড়া নিয়েও মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ‘নতুন যেসব নেতা বেশি দাপিয়ে বেড়াত, তারাই জালে। নিত্যনতুন নাম আসছে। বিরাট লম্বা লিস্ট। মজার ব্যাপার, যে লোকগুলি আমাদের বিরুদ্ধে লড়েছে, কেস করেছে, তারাই এখন ধরা পড়ে যাচ্ছে।’