বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। চার আসনের বিধানসভা উপনির্বাচনেও খাতা খুলতে পারেনি পদ্ম শিবির। বুধবার লোকসভা ভোটে দলের হতাশাজনক ফলাফলের কারণ অনুসন্ধানের জন্য রাজ্য কমিটির বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে হাজির হয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট নেতা। তবে সবার মাঝে নজর কাড়লেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ‘সরব’ দিলীপকে কার্যত ‘নীরব দর্শকে’র ভূমিকায় দেখা গেল এই সভায়।
নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠকে কেন মুখে কুলুপ দিলীপের (Dilip Ghosh)?
বঙ্গ বিজেপির (BJP) সভাপতি এবং দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদ খুইয়েছেন অনেকদিন হল। এবারের লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর সাংসদ তকমাও মুছেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দলের একটি বৃহৎ অংশের কাছে দিলীপের গ্রহণযোগ্যতা যে কমেনি তা বুধবারের বৈঠকে বেশ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিন সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে তিনি পৌঁছনো মাত্রই নেতা, সাংসদ, বিধায়কদের তাঁকে প্রণাম, নমস্কার করতে দেখা যায়। কেউ আবার জড়িয়ে ধরেন তাঁকে।
অবাক করা বিষয় হল, দলের একটি বড় অংশের কাছে দিলীপের (Dilip Ghosh) গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা দুই-ই থাকলেও সভায় একটি বাক্যব্যয় করেননি তিনি। কার্যত নীরবই ছিলেন তিনি। এরপর সভা শেষে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তো বলা বন্ধ করে দিয়েছি’।
আরও পড়ুনঃ নূন্যতম ১০,০০০! পুজোর আগেই বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন! বিরাট ঘোষণা রাজ্যের
নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠকে মুখে কুলুপ প্রসঙ্গে মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদের জবাব, আমায় বলতে দেওয়া হয়নি সেই জন্য বলিনি। নেতারা বলেছেন। আমি তাঁদের কথা শুনে চলে এসেছি। যদিও এই সভা প্রথম নয়, বিগত বেশ কিছুটা সময় ধরে দল নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলা থেকে বিরত থেকেছেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। তবে দলের বৈঠকে তাঁকে এমন চুপ দেখে শুরু হয়েছে চর্চা।
কারোর অনুমান, দিলীপকে শীর্ষ নেতৃত্ব অথবা আরএসএসের তরফ থেকে মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই জন্য বিশেষ কথা বলছেন না তিনি। তবে তা সত্ত্বেও নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠকে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির নীরব দর্শক হিসেব বসে থাকার বিষয়টিকে অনেককেই অবাক করেছে। এদিকে কয়েকদিন আগে আবার রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দিলীপ। এই প্রসঙ্গেও জিজ্ঞেস করা হয় বিজেপি নেতাকে। জবাবে বলেন, এখনও এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।