বাংলা হান্ট ডেস্ক : এমনিতেই বিজেপির শিয়রে সংক্রান্তি। কারণ, লোকসভা ভোটে যে মীরাক্কেল দেখা গিয়েছিল। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তা যেন অস্তগামী হয়েছে একপ্রকার। তাইতো বিধানসভা উপনির্বাচনে তিন তিনটি কেন্দের বিজেপির ভরাডুবি। একটিতেও আসন দখলে রাখতে পারেনি। তাই তো কিছুটা হলেও বিজেপির অস্ত্র ভোঁতা হয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পাখির চোখ করে এিতো চাইছে বিজেপি।তাই তো যেকোনো প্রকারে রাজ্যের রাশ টানতে প্রাণপন লড়াই করছেন বিজেপি নেতারা।
তাঁদের হারের পিছনে এনআরসি নিয়ে ভুল বোঝানোকেই দায়ী করছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও চেষ্টা ছাড়ছে না। আসলে লোকসভা নির্বাচনের পর অনেক তৃণমূলের কার্যালয় হাতছাড়া হয়েছিল। গেছিল বিজেপিতে। কিন্তু আস্তে আস্তে আবার যখন তৃণমূল পুনর্দখল করছে ঠিক তখনই যেন একেবারে থড়গহস্ত হয়ে উঠছে গেরুয়া বাহিনী। তাই এবার বাঁকুরায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থণে একটি মিছিলের মধ্য থেকে মুখ্যমন্ত্রীর শুক্রবার পার্ক সার্কাস থেকে অল আউট আন্দোলনের ডাক দেওয়া নিয়ে দলকে কটাক্ষ করে বললেন, তৃণমূল পার্টিটা অল আউট হয়ে গেছে।
মিটিং মিছিলে শুধুমাত্র সিদ্দিকুল্লা চৌধুরির দলের লোকগুলো ঝান্ডা নিয়ে ঘোরে। যদিও এখানেই থেমে থাকেননি। তৃণমূলের পর বামেদের তোপ দেগেছেন তিনি। বামের কার্যালয় দখল ঘিরে বলতে গিয়ে বিজেপির কার্যালয় দখল করতে আসলে স্ট্রেচার নিয়ে আসার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।অন্যদিকে রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।
যেভাবে চারিদিকে রেল ভাঙচুর হয়েছে সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে দিদিদমনি বলে সম্বোধন করে রেলের সম্পত্তি নষ্ট করার জন্য প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং প্রত্যেককেই আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে একসময়।