বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুক্রবার নৈহাটির একটি মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও রাজ্যে তাঁর জীবদ্দশায় কোনও ভাবেই এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়ন করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যদিও তিনি এখানেই থেমে থাকেন নেই, বিজেপির বিরুদ্ধে মতুয়াদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ তুলেছেন মমতা। পাশাপাশি নাগরিকত্ব কার্ড দেওয়ার নামেই মতুয়াদের কাছ থেকে বিজেপির লোকজনেরা টাকা নিচ্ছে বলেও জানান ।
এবার ঠিক তার উল্টো পথে হেঁটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ উদবাস্তু ইস্যুকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বাস্তুদের ভোটার করে ভোট নিয়েছেন কিন্তু নাগরিকত্ব দেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন, একই সঙ্গে বিজেপির নেতা রাহুল সিন্হা আবার মতুয়াদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে চাইছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন মমতার বিরুদ্ধে। তবে এবার সরাসরি নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ।
একসময় ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বাস ট্রেন শাক সব্জি চাল ডাল নুন সব বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। যেহেতু তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে রাজ্যের ভাল সম্পর্ক বলেছিলেন তাই এ বার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যাতে অত্যাচার বন্ধ হয় তাঁর কথা বলার আর্জি জানালেন দিলীপ ঘোষ, এক কথায় আর্জির মধ্য দিয়েই আক্রমণ। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নয় এক বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকের ওপর তাঁর নাকি দরদ আছে।
এদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ হওয়ার পর যাদবপুরের উদ্বাস্তুদের আবেদনকে প্রাধান্য দিয়ে জমির দলিল তুলে দেওয়ার কথা জানান পাশাপাশি বাংলার সমস্ত উদ্বাস্তু করণকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে এ দিন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বোঝাতে শুরু করেন আর সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানান এই আইনের মাধ্যমে ভারতবাসীরা বিজেপি হয়ে যাবেন, এমনকী কাউকে ইচ্ছা করে নাগরিকত্ব দেবে আবার নাও দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার