বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে হাজির হয়েছিলেন সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে হাসিমুখে বৈঠক করতে দেখা যায় বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ও তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে (Rinku Majumder)। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তাহলে কি তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন দিলীপ? মাথাচাড়া দেয় এই প্রশ্ন। সেই সঙ্গেই মেদিনীপুরের সাবেক সাংসদের বিরুদ্ধে সরব হন দলেরই একাধিক নেতা।
দিঘা সফর ও মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ (Dilip Ghosh)!
সৈকত শহরে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বিরোধী দলের একাধিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল রাজ্য। দিলীপ ঘোষের নামও ছিল সেই তালিকায়। রাজ্যের ডাকে সাড়া দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে উপস্থিত হন পদ্ম নেতা। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে কথা বলতেও দেখা যায় তাঁকে। এবার সেই দিঘা সফর ও মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
শনিবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে এই নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে গিয়ে আমি যে সৌজন্য দেখিয়েছি, সেটা তো উনি দেখাতে পারেননি। উনি যদি রাম মন্দিরে যেতেন, সৌজন্য দেখাতেন… আজ ওনাকে মন্দির করতে হয়েছে, তৃণমূলকে রামনবমীর মিছিল করতে হচ্ছে। সেই তো করতে হল। উনি কেন যাননি? উনি তো সৌজন্য দেখাননি। দিলীপ ঘোষ সৌজন্য দেখিয়েছে’।
আরও পড়ুনঃ রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA বৃদ্ধি! ফের সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী! কবে থেকে হাতে আসবে?
বিজেপি (BJP) নেতা এদিন স্পষ্ট বলেন, তিনি কারোর সমর্থন চান না। তিনি নিজের নীতি মেনে চলেন। দিলীপের কথায়, ‘দিল্লিতে যখন হাজার হাজার লোক নিয়ে যোগদান করানো হয়েছিল, আমায় ডাকা হতো। আসুন, যোগদান করান। তবে আমি বলে দিই, আমি বাংলায় রাজনীতি করি। এখানে পাঠান, এখানে যোগ দেবে, এখানে রাজনীতি করবে। নাহলে আমি ভরসা করি না। দিল্লির লোক হয়তো বলতে পারে, কথা শোনে না। তবে ওটা আমার কাজ নয়। আমার কাজ কোনটা আমি জানি’।
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি জোর গলায় বলেন, কোনও দিন কারোর সামনে হাত জোড় করে তিনি দাঁড়াননি। দিল্লি গিয়ে কারোর সাক্ষাৎও চাননি। তবে দল দাঁড় করিয়েছেন। আজ যারা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা নানান দল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরেই বিতর্কে জড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এখন শোনা যাচ্ছে, তাঁর রিসেপশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিজেপি নেতা রাজ্যের আমন্ত্রণে সাড়া দিলেও তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট তাঁর নিমন্ত্রণে সাড়া দেন কিনা সেটাই দেখার।