বাংলা হান্ট ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ার পর আমাদের দেশ পূর্ণাঙ্গ ভারতে পরিণত হয়েছে। যার প্রভাবে এবছর কাশ্মীরেও উড়েছে জাতীয় পতাকা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায় ‘আগামী ১৫ আগস্ট পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও উড়বে তিরঙ্গা।’ আজ মধ্য হাওড়ার সন্ধ্যাবাজারে এক জনসভায় আসেন তিনি, সেখানে এসেই এমন মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।
শুধু তাই নয় রাজ্যপুলিশকেও এদিন কটাক্ষ করেছেন দিলীপ, তিনি বলেন, এরাজ্যে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গেছে পুলিশি ব্যবস্থা। কোনো সম্মান নেই পুলিশ আধিকারিকদের। নিতান্ত প্রমোশন পাওয়ার জন্য উর্দি পরেই তারা দিদিকে প্রণাম করেন। তৃণমূল গুন্ডামির আঁতুড়ঘর তৈরি করেছে বাংলাকে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।’
সম্প্রতি মমতা ব্যানার্জি নয়া পরিকল্পনা শুরু করেছেন যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘দিদিকে বলো’, এর পাল্টা বিজেপির ‘দাদাকে বলো’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের কটাক্ষ প্রসঙ্গেও এদিন মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলকে নকল করার অভিযোগ নিমেষে তোয়াক্কা না করে, তিনি বলেন ‘মুখ্যমন্ত্রী চা বানাচ্ছেন। এটা কার ব্র্যান্ড? আমাদেরই কপি করছে তৃণমূল। আমরাই লোকের ঘরে ঘরে যাওয়া শুরু করেছিলাম। তারপর তৃণমূলের দিদিকে বলো। তাও ফোনে। যেখানে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয় না।’
অন্যদিকে, লেকটাউনে চায়ে পে চর্চায় গিয়ে ‘গো ব্যাক দিলীপ’ স্লোগান শুনতে হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে। ঘটনাচক্রে স্থানীয়রা তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙ্গুল তুলেছে বিজেপি। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। শুধু তাই নয় অভিযোগ উঠেছে ঘটনাস্থলে বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরা এরকমই নোংরা রাজনীতিতে বিশ্বাস করে তাই এরকমই তাদের ক্রিয়া-কলাপ। ঘটনাচক্রে হাতাহাতি হয় দুই দলের মধ্যে। অবশেষে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এ ভাবে ওরা আমাকে স্বাগত জানাল। ওরাই আমাকে পাবলিসিটি করে দেয়। আসলে তৃণমূল আমাকে ভয় পেয়েছে। আমার সামনেই চেয়ার-টেবিল ভেঙে দেওয়া হয়।’