বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘হাতে কাগজ ধরিয়ে বলছে চাকরি দিলাম। ঢপবাজি’, এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘চপশিল্প’-কে তুমুল কটাক্ষ করে বসলেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপি নেতার দাবি, “বর্তমানে রাজ্য সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কোনরকম উদ্দেশ্য কিংবা লক্ষ্য নেই তাদের। তাই সকলকে ঢপবাজি দিয়ে চলেছে।”
অতীতে একাধিক সময়ে শাসকদলের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন দিলীপ ঘোষ। এদিন সেই ধারা বজায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা।
উল্লেখ্য, বিতর্কের সূত্রপাত হয় গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কয়েকটি বক্তব্যকে ঘিরে। গতকাল খড়্গপুরে একটি কর্মসূচিতে যোগদান করে বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্যে কর্মসংস্থানের এক নয়া দিক উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “১০০০ টাকা সংগ্রহ করে একটা কেটলি এবং কয়েকটা মাটির ভাড় নিন। প্রথম সপ্তাহে কয়েকটা বিস্কুট নিন। তারপর মাকে ঘুগনি তৈরি করতে বলুন। তার পরের সপ্তাহে তেলে ভাজা। একটা টুল আর টেবিল নিয়ে বসে যান। পূজোয় বাংলায় এত মানুষ ঘুরতে আসে, দরকার পড়লে ঝাল মুড়ির কৌটো নিয়ে নিন। সঙ্গে বাদাম আর ছোলা। যা বিক্রি হবে, কুলোতে পারবেন না।”
মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে একাধিক মহলে। এদিন সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বর্তমানে রাজ্য সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ওদের হাতে কোনো রকম দিশা কিংবা উদ্দেশ্য কিছুই নেই। সেই কারণে সকলকে ঢপ দিয়ে চলেছে। দিল্লিতে যেমন কেজরিওয়াল মুখ থুবড়ে পড়েছেন, ঠিক তেমনভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও একই পরিস্থিতি হয়েছে।”
পরবর্তীতে বাংলায় চাকরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কিসের চাকরি আর কিসের ট্রেনিং? কোম্পানিগুলিকে বর্তমানে সরকার ভয় দেখিয়ে চলেছে। এইভাবে বাংলার মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, গতকাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপরই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির দিকে একের পর এক অভিযোগ ছুড়ে দেয় তৃণমূল। এ সকল প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “বাংলায় অতীতে সিআইডি ছিল এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারিও ছিলেন। তাহলে আগে কেন এসব কথা ওরা বলেনি? বর্তমানে কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত করে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সিআইডির তদন্ত কখনোই টিকবে না। এসব কিছু হয়ে চলেছে আমাদের ফাঁসানোর জন্য।”
পরবর্তীতে BJP নেতা বলেন, “একটা কথা আপনারা ভাবুন, বাংলার পড়ুয়ারা যে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে জীবনের প্রথম সার্টিফিকেট পেয়েছিল, সেই মানুষটি বর্তমানে জেলে। তার পাশাপাশি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী দুর্নীতির জায়গায় জেল হেফাজতে রয়েছে। এই পরিস্থিতি অতীতে বাংলা কখনো দেখেনি।”