বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইতিমধ্যে বঙ্গে পাঁচ দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। ষষ্ঠ দফার জন্য রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রস্তুতি তুঙ্গে। বাকি তিন দফায় রাজ্যের ১১২টি আসনে নির্বাচন হবে। বাকি দুটি আসনে প্রার্থী প্রয়াত হওয়ার কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। শনিবার পঞ্চম দফার নির্বাচনের দিনে বীরভূমের ইলামবাজের একটি জনসভা করেন বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ওই জনসভা থেকে দাবি করেন যে, আর কয়েকটি আসন পেলেই বিজেপি ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলবে।
আর এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখেও প্রায় একই কথা শোনা গেল। শনিবার পঞ্চম দফার ভোট সম্পন্ন হওয়ার পরই শাসক দল তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘খেলা হবে স্লোগান তুলে এখন নির্বাচনের দফা কমানোর জন্য কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল। আসলে ওঁরা পালাতে চাইছে।” দিলীপবাবু আরও বলেন, ‘বিজেপি এবারের নির্বাচনে ২০০ আসন পাবেই।”
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা যেমন নির্বাচন চেয়েছিলাম, তেমন ভাবেই নির্বাচন হচ্ছে। ওঁরা নির্বাচন ছেড়ে পালাতে পাছে। ওঁরা বলছে একসঙ্গে বাকি তিনদফার ভোট করে দাও, আমরা সভা করব না। মিটিং করতে গেলে টাকা লাগে, বক্তা লাগে, নেতা লাগে। কেউ বেরোচ্ছে না। আর এই কারণে ওঁরা এখন পালাতে চাইছে। কিন্তু ম্যাচের সময় পূরণ না করে তো আর খেলা শেষ হয় না। আমরা ওদের খেলা শেষ করব।”
দিলীপ ঘোষ দাবি করেন যে, ‘পঞ্চম দফা পর্যন্ত ১৮০টি আসনে নির্বাচন হয়েছে তাঁর মধ্যে ১২৫টি আসনেই ভারতীয় জনতা পার্টি জিতবে।” আরেকদিকে, পঞ্চম দফার নির্বাচনের দিনে আবারও বঙ্গে ভোট প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বাংলায় ভোট প্রচারে এসে বলেন, ‘চার দফার মতদান, তৃণমূল খান খান।” প্রধানমন্ত্রী এও দাবি করেন যে, এখনও পর্যন্ত বাংলায় যে নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষের আস্থা বিজেপির উপর আরও বেড়ে গিয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বিজেপিকে ভোট দিচ্ছেন।”