বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপিতে ভাঙনের প্রক্রিয়া অব্যাহত। রোজই কোনও না কোনও বিধায়ক-নেতা/নেত্রীরা বেসুরো গাইছেন। বিশেষ করে মুকুল রায় দল ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার পর থেকে বেসুরোদের সুর আরও বেশী করে চড়েছে। আর এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারীদের প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, বেশি চর্বি জমে গেলে দেখতে ভালো লাগে না। চর্বি ঝরছে এটাই ভাল।”
দিলীপবাবু বলেন, নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে ১০০ জন বিধায়ক বিজেপিতে আসবে বলে গুজব রটেছিল। এবার বিজেপি ছেড়ে ৩৫ জন বিধায়ক তৃণমূলে যাবে বলে গুজব রটছে। তৃণমূল থেকে টেনে এনে বিজেপিতে যোগদান করানোর পক্রিয়া নিয়ে বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা করেছিলাম। কিছুটা সফল হয়েছি, বাকিটা হইনি। কোন দিক থেক অসফল হয়েছি, সেটা দেখতে হবে।”
উল্লেখ্য, রবিবার ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ লেখেন, ‘দল ছাড়াটা অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিজেপি সেই লোকেদের উপর নির্ভর করে যাঁরা রক্ত দিয়ে, ঘাম ঝড়িয়ে দলটাকে দাঁড় করিয়েছে। বিজেপিতে থাকতে হলে ত্যাগ তপস্যা করতে হবে। যারা শুধু ক্ষমতা ভোগ করতে চান, তাঁরা বিজেপিতে থাকতে পারবেন না, আমরাই রাখব না।”
নির্বাচনের হারের পর থেকেই দলবদলুরা বেসুরো হয়ে উঠেছেন। দীপেন্দু, সোনালী, সরলা, রাজীবরা দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েও দিয়েছেন। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এখনও তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে এঁরা গদ্দার। কারণ এঁরা ক্ষমতার লোভে নির্বাচনের আগে দলের সঙ্গে বেইমানি করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। আর সেই কারণে এই গদ্দারদের আর দলে নেওয়া হবে না।
যদিও, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে সূত্রের খবর। শনিবার রাজীববাবু আচমকাই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। এরপর থেকেই ওনার দলবদলের জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। এরপর ওনার গাড়িতে ‘মা মাটি মানুষ” লেখা একটি স্কার্ফও দেখা যায়। এর থেকেই পরিস্কার যে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর ওয়াপসি সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তবে আজকে দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি হিসেবে, বেসুরো রাজীবকে বিজেপি কবে দল থেকে বের করে, সেটাই দেখার অপেক্ষা মাত্র।