বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, গরু পাচার মামলার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে জেলে হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এই কাণ্ডে বিগত কয়েকদিনে সরগরম হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে যখন অনুব্রতর সমর্থনে একের পর এক মন্তব্য করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), আবার অপরদিকে তাঁকে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি।
গতকাল অনুব্রতকের বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী আর এদিন তার পাল্টা কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “জেল থেকে বেরোলে তবে তো সম্মান দেওয়া হবে।” শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে বাদানুবাদের কারণে স্বাভাবিকভাবেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি।
সম্প্রতি, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এরপর থেকেই ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। যদিও আবার অপরদিকে এগুলিকে বিজেপির ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করে আসছে তৃণমূল শিবির। এ মামলায় অতীতেও ‘প্রিয়’ অনুব্রতর হয়েই সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল সেই ধারা বজায় রেখে তাঁর দাবি, “যতদিন না বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি বের হয়ে আসছে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের তিনগুণ লড়াই করতে হবে।”
এরপরেই মমতা বলেন, “কেষ্টকে বীরের সম্মানে জেল থেকে বের করে আনবেন। কেউ ওকে আটকাতে পারবে না। আসলে অনুব্রতকে জেলে আটকে রাখার মাধ্যমে বিজেপি ভেবেছিল, বীরভূম থেকে লোকসভা জিতবে। কিন্তু তাদের সেই উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।”
তবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “জেল থেকে বেরোলে তবে তো সম্মান দেওয়া হবে। সম্প্রতি আমি বীরভূম গিয়েছিলাম। তখনই বুঝে গিয়েছি যে, সেখানকার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পাল্টাতে শুরু করেছে।”
একইসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষের গলায় লালু প্রসাদের প্রসঙ্গ ধরা দেয়। তিনি বলেন, “লালু প্রসাদকে জেল থেকে বীরের মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে আনার কথা ভেবেছিল বিহারের মানুষেরা। কিন্তু বেরোলে তবে তো মর্যাদা দেবে।” একইসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, “সম্প্রতি আমি বীরভূমে গিয়েছিলাম। এই প্রথম সেখানকার মানুষকে হাসতে দেখলাম। ওদের বেশ খুশি এবং আনন্দিত দেখেছি। মানুষ বর্তমানে ঘর থেকে বেরোতে পারছে।”
তিনি আরো জানান, “গতবার বীরভূমে আমাকে চা চক্র করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে পালায় চা বিক্রেতা। তবে এবার বীরভূমবাসীকে যথেষ্ট আনন্দিত দেখলাম। ওরা ডেকে চা খাইয়েছে আমাকে। ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে বীরভূমের পরিস্থিতি।”