বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বেনজির আক্রমণ করলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। পুজোর গন্ধে মাতোয়ারা বাংলা। আর মাত্র ৬ টা দিন। তারপরই উৎসবে মেতে উঠবেন গোটা রাজ্য। আর এই পুজোর আমেজেই একের পর এক পুজোর উদ্বোধন করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সল্টলেক টালা পার্কেও তাঁকে পুজো উদ্বোধন করতে দেখা গিয়েছে এদিন। এবার এই বিষয় নিয়েই মমতাকে তোপ দাগলেম দিলীপ ঘোষ।
এবারের দুর্গাপূজায় বাঙালির উৎসাহ একটু বেশিই? বিগত কয়েক বছর করোনার দাপটে মাটি হয়েছিল দুর্গোৎসব। তার উপর এবার বাংলার দুর্গাপূজাকে বিশেষ স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। তাই সেই ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ দিতে গত ১ সেপ্টেম্বর শহরের বড় মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানা যাচ্ছে, এবার দুর্গাপূজার সময় কলকাতায় থাকবেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরাও। তাঁরা ঘুরে দেখবেন গোটা শহর। ইউনেস্কোর এই স্বিকৃতি নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও চলছে বিস্তর। ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজের তকমা পেয়েছে বাংলার দুর্গাপূজা। তারপর থেকেই কার কৃতিত্বে এই সম্মান এল তা নিয়েই চলছে জলঘোলা।
গোটা রাজ্য জুড়েই এখন উৎসবের পরিবেশ। বড় বড় মণ্ডপগুলিতে এসে গিয়েছে প্রতিমাও। ফিতে কেটে তার উদ্বোধনও শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই সময়ই শুরু হল বিতর্ক। ইউনেস্কো স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে কার কৃতিত্ব বেশি? কেন্দ্র সরকার নাকি রাজ্য সরকার? কার ভূমিকা বেশি তা নিয়ে যত তর্কবির্তক। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা তো একটা আন্তর্জাতিক বিষয়। কেন্দ্র এগিয়ে না এলে কী ভাবে সম্ভব? এত বড় একটা ব্যাপারে তুচ্ছ রাজনীতির কোনও জায়গা নেই।’
মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধন নিয়েও তোপদাগেন দিলীপ? বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দুর্গাপুজোয় রাজনীতিকরণ হচ্ছে। দুর্নীতি ঢাকতে এই সরকারের নীতি হল—কামাও, খাও, মস্তি করো। আর মেলা, খেলা, লীলাতে ভুলে থাকো। তবে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।’ ধর্মের কল বলতে দিলীপবাবু ঠিক কী বলতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট করেন নি তিনি। তবে একের পর এক দুর্নীতি কাণ্ডে তৃণমূলের বেহাল অবস্থাকেই ধর্মের কলের বাতাসে নড়া বলে কটাক্ষ করেছেন বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।