‘ফোনে কথা বলে বা দু’একজনকে ডেকে নাটক করছে সরকার’, নিয়োগে দেরি হওয়া নিয়ে সরব দিলীপ ঘোষ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে সোমবারই দিল্লি রওনা হন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। টেট পরীক্ষার্থীদের রাতভর অবস্থান নিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। একইসঙ্গে দিলীপের দাবি, পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে কতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না নিয়েই সংশয় আছে।

২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের সারা রাত জুড়ে বিক্ষোভ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আট নয় বছর ধরে তাঁরা অপেক্ষা করছেন। পরীক্ষার পাশ করেছেন তাঁরা, চাকরি পাওয়াটা তো তাঁদের অধিকার। দিনের পর দিন বয়স চলে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মধ্যে একটা চিন্তা আছে ভবিষ্যৎ নিয়ে। কিন্তু রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। কেউ কোনও কথা দিচ্ছে না। খালি নাটক চলছে। কেউ একটু ফোনে কথা বলে নিচ্ছে। কেউ দু’জনকে ডেকে নিয়ে নাটক করছে। এখন যা অবস্থা এই সরকার থাকবে কি না, থাকলেও ক’দিন থাকবে তা কেউ জানে না। সরকারের নেতারা কে কোথায় থাকবে সেই নিয়েই সরকার বেশি চিন্তিত। জানি না কতদিনে কী হবে। আদৌ তাঁদের চাকরি হবে কি না তাও জানি না!’

বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির মন্তব্যের জবাব দেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বোর্ড এবং সরকার শিক্ষা দফতর পুরো বিষয়টাকে নিশ্চিতভাবে খতিয়ে দেখছে বলেই আমার মনে হয়। যেটা যথাযথ সেটাই হওয়া উচিৎ, এবং সেটাই করা উচিৎ।’ প্রসঙ্গত সোমবার থেকে করুণাময়ীতে ধর্নায় বসেছেন ২০১৪ সালে টেট পাশ করা নট ইনক্লুডেড চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। এরই সঙ্গে তাঁরা সদ্য প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মেনে ইন্টারভিউ দিতেও রাজি নন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল ও ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউ হবে একসঙ্গে। এখানেই আপত্তি জানান ২০১৪ সালে পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের।

তাঁদের দাবি, ইতিমধ্যেই দু’বার তাঁদের ইন্টারভিউ হয়েছে। এত বছর ধরে নিয়োগের অপেক্ষা করতে করতে অনেকেরই বয়স পেরিয়ে গিয়েছে ইন্টারভিউয়ে বসার। ফলে নতুন করে আর তাঁরা ইন্টারভিউ দেবেন না। এই নিয়েই সোমবার রাতভর করুণাময়ীতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। মঙ্গলবার সকালেও তাঁরা রাস্তাতেই বসে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের দাবি নতুন করে ইন্টারভিউ তাঁরা দেবেন না।

এক বিক্ষোভকারী জানান, ‘প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির পথেই তো বর্তমান পর্ষদ সভাপতিও চলছেন। উনি কেন বুঝতে পারছেন না আমরা দীর্ঘ আট বছর ধরে বঞ্চিত হয়ে রয়েছি। কেন উনি ২০১৭’র সঙ্গে ২০১৪দের ইন্টারভিউ দিতে বলছেন? দু’টো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।’ তবে পর্ষদের তরফ থেকে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয় নি।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর