বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এরপর থেকেই ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। একদিকে যখন বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঢাক-ঢোল বাজানোর পাশাপাশি গুড় ও বাতাসা বিলি করা হচ্ছে, আবার অপরদিকে সিবিআই এবং ইডির (ED) মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃণমূল। অবশেষে তৃণমূলের এহেন প্রতিবাদ কর্মসূচির বিরুদ্ধে চরম কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
উল্লেখ্য, গতকাল অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমের বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে এনে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। এরপরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে কোন রকম আপোস না করার কথা সাফ জানিয়ে দিলেও পরবর্তীতে সিবিআই এবং ইডির মত সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে দেয় ঘাসফুল শিবির।
একই সঙ্গে গতকাল তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, “আগামী দুই দিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে পথে নামবে তৃণমূল।” সেই কথামতো এদিন কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনে নামে তৃণমূলের ছাত্র যুব এবং মহিলারা। আন্দোলনের সর্বত্র প্ল্যাকার্ড হাতে হাঁটতে দেখা যায় সকলকে, যেখানে লেখা থাকে, ‘সিবিআই এবং ইডিকে দিয়ে বাংলাকে ভয় দেখানো যাবে না’, ‘রবীন্দ্রনাথের নোবেল যারা চুরি করেছে, তাদের গ্রেফতার করা হোক’। অবশেষে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র যুব আন্দোলনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
অনুব্রত গ্রেফতারি মাঝে দিলীপের জবাব, “আগে কোন কিছু হলেই উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সিবিআই-সিবিআই করে চেঁচাতেন। তখন ওনার সিবিআই দরকার হতো আর বর্তমানে তারা যখন বাড়ির ভেতরে ঢুকে টাকা বের করছে, তখন সিবিআই খারাপ।” এর পরেই তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচির বিরুদ্ধে দিলীপবাবু জানান, “এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জুতো খেয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডল খেয়েছেন। তোমরা যদি প্রতিবাদ মিছিলে যাও, তাহলে ছেঁড়া জুতো খাবে। লোকে কাদা ছুড়ে মারবে। তোমাদের যদি মান-সম্মান থাকে, তবে মিছিলে যেও না। নাহলে লোকে জুতো মারবে, আমরাও মারবো।” স্বাভাবিকভাবেই দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য রাজনৈতিক বিতর্ক আরো বাড়াবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।