বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘গোপনে কিছু করার দরকার নেই। পারলে ওপেন করুক। সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রস্তুত রয়েছে’, তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) কটাক্ষ করে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মুকুল রায় (Mukul Roy) এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বৈঠক নিয়েই তাঁর এই মন্তব্য।
বিরোধী দলকে আক্রমণ করা হোক কিংবা নিজের দলের বিরুদ্ধেই বেফাঁস মন্তব্য, অধিকাংশ সময়ই খবরের শিরোনামে বিরাজ করেন বিজেপি সাংসদ দিলীপবাবু। সেই ধারা বজায় রেখেই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়ের বৈঠককে কেন্দ্র করে আক্রমণ শানালেন তিনি।
উল্লেখ্য, গতকাল মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছু সময় ধরে চলে উক্ত বৈঠক। বলে রাখা ভালো, তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম লগ্ন থেকে দলের সঙ্গে থাকলেও পরবর্তীতে পুরানো দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন মুকুল রায়। যদিও সেই যাত্রা ছিল ক্ষণস্থায়ী! পরবর্তীতে পুনরায় একবার ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তন ঘটে মুকুলবাবুর। যদিও এরপর থেকেই একাধিক সময় বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে আর এই সকল ইস্যু মাঝে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুকুল রায়ের বৈঠক ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।
এদিন সেই বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “গোপনে করার কি দরকার, ওপেন করুক না। আমাদের বিরুদ্ধে অনেক চক্রান্ত করে চলেছে। তবে বিজেপি প্রস্তুত রয়েছে। পাল্টা লড়াই করব আমরা। মুকুল রায় আপনাদের দলে থাকলেও পরবর্তীতে বেরিয়ে গিয়েছিল। তাই কে ভেতরে আর কে বাইরে থাকবে, সেটা আগে স্থির করুন।”
একইসঙ্গে বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদদের সাফ জবাব, “গত কয়েক মাসে একের পর এক হত্যা হয়ে চলেছে। আইন শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। তা সত্ত্বেও এ সকল দমন করার পরিবর্তে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে সরকার।”
প্রসঙ্গত, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে একদিকে যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরাজিত আসনগুলিতে ক্ষমতা বিস্তার করতে তৎপর বিজেপি, আবার ওপর দিকে বাংলায় এসএসসি থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক দুর্নীতি মামলায় শাসক দলকে কোণঠাসা করতে মরিয়া তারা। সূত্রের খবর, দ্রুত যাদবপুরে আসনে সভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই সকল ইস্যুতে এদিন মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “আমাদের দলের সংগঠন বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিধায়ক এবং সাংসদ রয়েছে। লড়াই করতে প্রস্তুত বিজেপি। একই সঙ্গে বলতে চাই, রাস্তায় বসে চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করে চলেছে। বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এসবের মাঝে দুর্গাপুজো পালিত হয়েছে। মাকে বলেছি, ওদের সংকট যেন দূর হয়। সুখ শান্তি আসে সকলের জীবনে।”