বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসানসোল (Asansol) ইস্যুতে এখন উত্তাল বঙ্গ। ১৪ ডিসেম্বর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বক্তৃতা সভার শেষে কম্বল বিতরণকে ঘিরে শুরু হয় হুড়োহুড়ি। এরপরই সেই হুড়োহুড়ি রূপ নেয় মৃত্যুর। পদপৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান তিন জন। আহত আরও অনেক। ঘটনার জেরে শোরগোল পরে যায় বঙ্গ রাজনীতিতে। শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির আর্জিও উঠে আসে বিরোধী মহল থেকে। এরপরই এই ইস্যুতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে কার্যত পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)৷
হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) নাম তুলে বেনজির আক্রমণে সরব হন তৃণমূল মুখপাত্র। সাথেই দেশের বিচার ব্যবস্থা দিকেও আঙ্গুল তোলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থা ও বিচারপতিকে আমরা সম্মান করি৷ সাধারণ মানুষ বলেন হাইকোর্টে যাব৷ আমিও আমার আইনজীবীকে বলি, হাইকোর্টে পিটিশন দাও বা চলো সুপ্রিম কোর্টে যাই। একমাত্র শুভেন্দুর মুখে শোনা যায়, আমি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে যাব৷ কেন, কীসের জন্য? কোন কারণে বিচারপতির নাম গুরুত্ব পায়?’
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গ টেনে এবার তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপি নেতা বলেন, মান্থা হোন বা গাঙ্গুলি হোন, যাদের সম্মন্ধে ওদের খুব কমপ্লেন, যারা তাদের উদ্দেশ্যের বিরোধিতা করবে বা তাদের কথা মতো কাজ করবে না তাদের বিরুদ্ধে উঠবে৷ তাহলে এতদিন যে রায়গুলো টিএমসি কো পেয়েছে, সে সিঙ্গুর থেকে শুরু করে সব, তাহলে সেই ব্যাপারেও প্রশ্ন উঠতে পরে। সমস্ত বিচারকের দিকে আঙুল তোলা যেতে পারে। যাদের সংবিধান কোর্ট, কারও ওপর ভরসা নেই তারা রাজনীতি করছে কেন? তাহলে পশ্চিমবাংলায় যতগুলো ফয়সালা হয়েছে টিএমসি-র পক্ষে তাহলে আমার মনে করবো রাজনৈতিক ফয়সালা হয়েছে। এভাবে কোর্টের দিকে আঙুল তোলাটা কতটা সমিচিন সেটাও ভাবতে হবে।
প্রসঙ্গত, আসানসোলে পদপৃষ্ট হয়ে প্রাণ নাশের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি সহ ৫ জনকে। তবে নাম আসেনি শুভেন্দুর। প্রথম থেকেই আসানসোলের ঘটনায় আয়োজকদের বিরুদ্ধে উঠেছে চরম গাফিলতির অভিযোগ। কী ভাবে পাঁচ হাজার লোককে কম্বল বিলি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়, কেন তার উল্লেখ পুলিশকে পাঠানো চিঠিতে নেই? কেন নেই বিরোধী দলনেতার হাজির থাকার প্রসঙ্গও? এত বড় কর্মসূচীতে কেন ছিল না কোনো অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা? প্রশ্ন উঠছে এই সকল বিষয়েই। পাশাপাশি, প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকাও।