বাংলাহান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বেশ জোর কদমেই চলছে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার। কেউ কারোর জন্য এক টুকরো জমি ছাড়তে রাজী নয়। একদিকে যেমন তৃণমূল (All India Trinamool Congress) নিয়ে এসেছে একাধিক নয়া কর্মসূচী, তেমনই বিজেপির (Bharatiya Janata Party) হাতেও আছে কিছু নতুন প্রকল্প।
এমনকী নতুন প্রকল্পগুলিকে কেন্দ্র করে শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী দল কেউ কাউকেই কথা শোনাতে ছাড়ছে না। এমনকি, বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “তৃণমূল নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কথা বলা হলেও কেউ যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী জাটুয়া, রায়দিঘী গিয়ে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে মাছ ভাত খেয়েছিলেন। ওনার দলের কেউ ওনাকে খেতে দেয়নি।”
এমতবস্থায়, বন্দে ভারত ট্রেনের (Vande Bharat Express) গায়ে পাথর ছোড়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। কয়েকটি কামরায় ভাঙচুর করা হলে সেই বিষয়টিকে নিয়েই আবার বিজেপি তৃণমূলের মধ্যে রেষারেষি শুরু হয়। তৃণমূলের দাবী এই কাজ বিজেপিই করেছে । নিজের ঢাক নিজে পেটানোর জন্য অর্থাৎ ট্রেনটির চাহিদা বাড়ানোর জন্য তারা নিজেরাই ট্রেনের গায়ে পাথর ছুঁড়ে মেরেছে। এবার সেই পাথর ছোড়া নিয়ে শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বন্দে ভারতের উপর হামলার প্রসঙ্গে বলেন যে, জয় শ্রী রামের বদলা কী আর পাথর ছুঁড়ে মারা যায়? যে ট্রেন রাষ্ট্রবাদীতার প্রতীক, সাধারণ মানুষের কাজে আসে তার গায়ে পাথর ছুঁড়ে মারলেই কী দেশের রক্ষাকর্তা হওয়া যায়? তাঁর মতে “দেশের মানুষ কতো খুশি ছিল এই ট্রেন নিয়ে। আমরা দেখেছি, স্টেশনে স্টেশনে কি বিপুল উন্মাদনা। সাধারণ মানুষ ট্রেনকে স্বাগত জানানোর জন্য কতো উৎসাহী ছিল।” দিলীপ ঘোষের কথায়, কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই এতে খুব একটা খুশি হননি। তিনি নাকি রাজ্যটাকে আরও পিছনের দিকে টেনে নিয়ে চলেছেন। আর যেখানে বিজেপি চাইছে জনগণ তথা রাজ্যটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি তাও করতে দিচ্ছেন না।
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন যে, অনেক টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত এই সেমি বুলেট ট্রেনটি বানানো হয়। কিন্তু হয়তো রাজ্যের মানুষ বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল এতে রাজী নয়, তাই আজ এই অবস্থা। আর তাই আজ এটা তাঁদের দায়িত্ব রাজ্যকে এইসব মানুষের হাত থেকে রক্ষা করা এবং উচিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।