বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিনে কোচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে সকাল দশটা নাগাদ শয়ে শয়ে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাত থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ারও প্রচেষ্টা করে তাঁরা। এরপর আত্মরক্ষার খাতিরে কেন্দ্রীয় বাহিনী ১৫ রাউন্ড গুলি চালায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায় ৪ গ্রামবাসী।
এই ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফার দাবি তোলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অমিত শাহের নির্দেশেই গুলি চালানো হয়েছিল যার ফলে প্রাণ গেল চারজনের।
আর এবার শীতলকুচি ইস্যুতে তৃণমূলকে শাসালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বরানগরে বিজেপির তারকা প্রার্থী পার্নো মিত্র-র জন্য একটি সভা করেন দিলীপ ঘোষ। সেই সভা থেকে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘শীতলকুচিতে কি হয়েছে দেখেছেন তো? এরপর বেশি বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।”
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘তৃণমূলের গুণ্ডারা ভেবেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুকটা শুধু দেখানোর জন্য থাকে। কালকে ওদের সব ভ্রান্ত ধারণা দূর হয়ে গেছে। ওঁরা বুঝে গেছে যে, গুলির জোর কত। কেউ ওস্তাদি মেরে গুন্ডামি দেখিয়ে নিজের হাতে আইন নিতে এলে এই অবস্থাই হবে। তবে আজ বরানগরে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে এটুকু স্পষ্ট যে, মৃতদের প্রতি তিনি সমবেদনা দেখাতে চাননা।