বাংলা হান্ট ডেস্ক –বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ বীরভূমে গিয়ে বলেন যেসব তৃণমূলের নেতারা কাটমানি সারদা-নারদা এবং একাধিক দুর্নীতির সাথে যুক্ত আছে তাদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, যে নেতা যত বড় তার জন্য জেল ততো বড়। যদি কোন ছোট নেতা হয় তাকে এলাকার কোন জেলে রাখা হবে, যদি তার থেকে একটু বড় নেতা হয় তাহলে কলকাতা সেন্ট্রাল জেলে রাখা হবে আর এমএলএ এমপি হলে তাদের ঠিকানা হবে উড়িষ্যার কটক এ অর্থাৎ তিনি তৃণমূলকে একাধিক দুর্নীতিতে কটাক্ষ করে করেন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি মন্তব্যকে কোনরকম ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব অনুব্রত মণ্ডল এই বিষয়ে বলেন প্রতিটি বক্তব্যর মধ্যে প্রচ্ছন্ন হুমকি থাকে। ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত খারাপ কিন্তু পাল্টা দিলীপ ঘোষের দাবি সাধারণ মানুষের সাথে চা খেতে গেলে যদি আক্রমণ করা হয় বা আমার গাড়ি ভাঁঙা হয় তাহলে আমরা কি চুপ করে বসে থাকব কারণ প্রশাসন এখানে নির্বিকার কোনো কাজ করে না।
অর্থাৎ তৃণমূলের দ্বারা প্রশাসন চলছে বলে দাবি দিলীপ ঘোষের, সত্যিই কি তাহলে পুজোর পর একাধিক নেতাদের ঠিকানা হবে জেল? সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল কিন্তু বিরোধীদের দাবি যেসব নেতারা সারদার যুক্ত তারা যখন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাচ্ছে তখন তাদেরকে ক্লিনচিট দিচ্ছে বিজেপি। পক্ষপাতিত্ব এই অভিযোগকে কার্যত মানতে চাইছে না বিজেপি। এখন দেখার বিষয় সত্যিই কোন কোন নেতারা শেষ পর্যন্ত জেলে যায়।