বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন একমাসও হয়নি। তার মধ্যেই দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও রিঙ্কু মজুমদারের (Rinku Majumdar) পরিবারে শোকের ছায়া। মঙ্গলবার রিঙ্কুর আগের পক্ষের ছেলে প্রীতম দাশগুপ্ত ওরফে সৃঞ্জয়ের আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে। এরপর থেকেই নানান মহল থেকে দিলীপ-রিঙ্কুর বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মায়ের বিয়ের পর কি মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল প্রীতমকে? দেখা দেয় এই প্রশ্ন। এই আবহে সামনে আসছে রিঙ্কুর সংঘর্ষের কথা। প্রথম বিয়ে টেকেনি, একা হাতে বড় করেছেন ছেলেকে। একথা মোটামুটি অনেকেই জানেন। তবে এবার রিঙ্কুর প্রথম স্বামী রাজা দাশগুপ্তের (Raja Dasgupta) ‘কীর্তি’ ফাঁস করলেন দিলীপ পত্নীর পুরনো পাড়া হালিশহরের পড়শিরা।
প্রথম স্বামীর অত্যাচারের শিকার ছিলেন রিঙ্কু (Rinku Majumdar)!
মাত্র ২৭ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন রিঙ্কুর একমাত্র সন্তান। যে ছেলেকে বুকে আগলে বড় করেছেন, তাঁকে হারানোর পর কান্নায় ভেঙে পড়েন দিলীপ পত্নী। এই পরিস্থিতিতে রিঙ্কুর লড়াইয়ের কথা তুলে ধরলেন তাঁর পুরনো প্রতিবেশীরা। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার একটি প্রতিবেদনে সেই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, প্রীতমের বাবা তথা রিঙ্কুর প্রথম স্বামীর পুরনো নানান ‘কীর্তি’!
রিঙ্কুর পুরনো এক প্রতিবেশী বলেন, ‘প্রথম থেকেই রিঙ্কুর ওপর রাজা অত্যাচার করতো। মাঝেমধ্যেই সেসব সহ্যের সীমা অতিক্রম করে যেত’। আরেক প্রতিবেশী আবার জানান, রাজাও দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সেই বিয়ে অবশ্য টেকেনি। কন্যাকে নিয়ে আলাদা থাকেন দ্বিতীয় স্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ ‘কোনও যুদ্ধই হয়নি… কোথায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে?’ মোদী সরকারের কাছে ‘প্রমাণ’ চাইলেন সৌগত
ওই প্রতিবেশী বলেন, ‘আজ রিঙ্কুর বিয়ে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। রাজা যে রিঙ্কুকে ছেড়ে আরেকটা বিয়ে করেছিল, সেটা অনেকেই জানেন না। অনেক আগেই রিঙ্কু-প্রীতমকে কার্যত পথে বসিয়ে চলে যায় রাজা, আরেকটা বিয়ে করে। দ্বিতীয় পক্ষের একটি মেয়ে আছে। তবে সেই বিয়েও টেকেনি। মেয়েকে নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী আলাদা হয়ে গিয়েছে’।
রিঙ্কুর পুরনো এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন প্রায় রোজ মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে রিঙ্কুর ওপর অত্যাচার করতেন রাজা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মহিলা বলেন, ‘রাজা প্রায় রোজ মদ খেত ও বাড়ি এসে রিঙ্কুর ওপর অত্যাচার করতো। এলাকার প্রত্যেকে সেকথা জানে’।
তিনি জানান, স্ত্রী-পুত্রকে ছেড়ে রাজা দ্বিতীয় বিয়ে করার পর রিঙ্কু কীভাবে প্রীতমকে মানুষ করেছেন সেটা এলাকার সকলের জানা। ওই পড়শির কথায়, ‘রাজার দ্বিতীয় বিয়ের পর রিঙ্কু কীভাবে ছেলেকে মানুষ করেছে, তার সাক্ষী আমরা অনেকেই। ছেলে স্বাবলম্বী হওয়ার পরেই রিঙ্কু নতুন জীবন শুরুর কথা ভেবেছে। তাঁকে যারা দোষারোপ করছেন, তাঁরা সবটা না জেনেই করছেন’।
উল্লেখ্য, দিলীপ পত্নীর একমাত্র ছেলের মৃত্যুর পরেই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন প্রথম স্বামী তথা প্রীতমের বাবা রাজা। সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে আসেন তিনি। এবার তাঁর নানান পুরনো ‘কীর্তি’র কথা তুলে ধরলেন হালিশহরের প্রতিবেশীরা। সেই সঙ্গেই রিঙ্কু (Rinku Majumdar) কীভাবে ছেলেকে বড় করেছেন, সেকথাও জানান তাঁরা।