রিঙ্কু-পুত্রকে মাদকের টাকা জোগাতো লিভ-ইন পার্টনারই? কোন কোন নেশা চলত? তদন্তে নেমে একাধিক প্রশ্ন

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) পত্নী রিঙ্কু মজুমদারের (Rinku Majumdar) একমাত্র ছেলে সৃঞ্জয় মজুমদারের ওরফে প্রীতমের মৃত্যুর পরই একাধিক তথ্য সামনে আসছে। নাম সামনে এসেছে প্রীতমের লিভ-ইন পার্টনারের। ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন মাদকাসক্ত ছিলেন প্রীতম। কাউন্সেলিং পর্যন্ত চলছিল তাঁর। প্রশ্ন উঠছে ওই বান্ধবীর ‘আর্থিক সাহায্যেই কি বিদেশি মাদকের টাকা জুগিয়ে উঠতে পারছিলেন প্রীতম?

রিঙ্কু-পুত্রের লিভ-ইন পার্টনারের ভূমিকায় প্রশ্ন!

গত মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনে রিঙ্কুর শাপুরজি আবাসন থেকে উদ্ধার হয় সৃঞ্জয় মজুমদারের ওরফে প্রীতমের নিথর দেহ। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। তরতাজা তরুণ যুবকের মৃত্যুতে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা শুরু করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।

প্রীতমের মৃত্যুর তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ‌্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। রিঙ্কু মজুমদারের বান্ধবী ঝুমা ঘোষ জানান, রিঙ্কুকে মেসেজ করে প্রীতমের লিভ-ইন পার্টনার জানাতেন প্রীতম নাকি তার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছেন। পরে সেই টাকা রিঙ্কু দিয়ে দিতেন ওই মহিলাকে।

BJP leader Dilip Ghosh wife Rinku Majumdar son death

আরও পড়ুন: বিদায় বাবু ভাইয়া, দর্শকদের বড় ধাক্কা দিয়ে ‘হেরা ফেরি ৩’ থেকে সরলেন পরেশ রাওয়াল

তদন্তে নেমে পুলিশের প্রশ্ন, কিসের নেশায় আসক্ত ছিলেন প্রীতম? শুধু কি ব্রাউন সুগারের মতো ‘দেশি মাদক’ না কি টান ছিল কোকেন বা এমডিএমএ-র মতো বিদেশি মাদকেও? এসব বিদেশি মাদকের প্রচুর দাম। তাহলে কী সেই টাকা ওই বান্ধবীই যোগাতো প্রীতমকে? তিনিও কী নেশায় আসক্ত ছিলেন? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যুবতীর কার্যকলাপও নজরে রয়েছে পুলিশের।

জানা গিয়েছে টাকা নিয়ে ঝামেলার পর রিঙ্কু এবং প্রীতম দুজনেই ওই যুবতীকে ফ্ল‌্যাটে যেতে বারণ করেন। অভিযোগ উঠেছে, সেই রাতে ওই যুবতী জোর করে ফ্ল্যাটে ঢোকে। জানা গিয়েছে প্রীতম অন‌্য দুই বন্ধু ও বান্ধবীর সঙ্গে মদ‌্যপান করেন সেদিন রাতে। শুধুই কী মদ্যপান নাকি মাদকের নেশা করেছিলেন সেই বিষয়েও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, অগ্ন‌্যাশয়ে ক্ষত থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে প্রীতমের।

ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/live/d-iyaf2OqE4?si=uQL68plRTWSevaJs

প্রসঙ্গত, ছেলের মৃত্যুর পর দিলীপ ঘোষ বলেন, “ড্রাগের সমস্যা ওর আগে থেকেই ছিল। ওর কাউন্সেলিং চলছিল। ওর অফিসের ডাক্তার দেখত।” এদিন মর্নিং ওয়াকে এসে দিলীপ বলেন, ‘আজকের যুবসমাজের মধ্যে নেশার যে কি প্রভাব, তার এটা একটা নমুনা। ঠিক কি হয়েছিল বলার আগেই তো ছেলেটা শেষ হয়ে গেল। আমাদের সবার কাছে এটা একটা বড় শিক্ষা।’

শতর্ক করে দিলীপ আরও বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা কোথায় যাচ্ছে কি করছে? তাকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয়না। তারপরেও এতবড় রিস্ক থেকে যায়। এটাই চিন্তার বিষয়।”

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

X