বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্পর্ক ঠিক চলছিল না, গভীর রাতে তাও কেন রিঙ্কু (Rinku Majumdar) পুত্রের ফ্ল্যাটে হাজির হলেন তার লিভ ইন পার্টনার বান্ধবী? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, রিঙ্কু এবং তার ছেলে প্রীতম দুজনেই ওই সহকর্মী যুবতীকে ফ্ল্যাটে যেতে বারণ করেন। তবুও সেই রাতে ওই যুবতী জোর করে ফ্ল্যাটে ঢোকেন।
নজরে ছেলের নজরে লিভ ইন পার্টনার!
ওই যুবতীর আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন রিঙ্কু মজুমদারের ঘনিষ্ঠরা। অভিযোগ, বন্ধু প্রীতমের মৃত্যুর পর যখন ফ্ল্যাট বন্ধ ছিল সেই সময়ও ওই যুবতী ফ্ল্যাটে ঢোকার চেষ্টা করেন। রিঙ্কুকে বারংবার ফোন করে ফ্ল্যাটে ফেলে যাওয়া ল্যাপটপ চেয়ে সমানে জোর করতে থাকেন ওই যুবতী।
তরতাজা তরুণ যুবকের মৃত্যুতে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা শুরু করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। প্রীতমের মৃত্যুর তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। কেন সেই দিন গভীর রাতে প্রীতমের ফ্ল্যাটে যুবতী ঢুকল, তার পর কী এমন হল যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রাণ গেল প্রীতমের সেইসব প্রশ্ন সামনে আসছে।
সেই রাতে প্রীতমের সঙ্গে যুবতীর কি এমন কোনও কথা হয়েছিল যার পরই অত্যাধিক মদ্যপান বা ওষুধের ওভারডোজ করে ফেলেন প্রীতম? খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই যুবতীর পাশাপাশি প্রীতমদের আরও দুই বন্ধু গত সোমবার রাতে ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন। একজন ঢোকেন রাত তিনটের সময়। কী প্রয়োজনে এত রাতে প্রবেশ? তারপর কী হল? এই সমস্ত বিষয় জানতে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/_8aCm1GgEYU?si=28ywRwbolEk3MxS3
গত মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) পত্নী রিঙ্কু মজুমদারের (Rinku Majumdar) শাপুরজি আবাসন থেকে উদ্ধার হয় তার একমাত্র ছেলে সৃঞ্জয় মজুমদারের ওরফে প্রীতমের নিথর দেহ। সূত্রের খবর, ছেলের শেষ কাজ সেরে নিমতলা শ্মশান থেকে যখন রিঙ্কু বাড়ি ফেরেন, তারপর থেকেই ওই যুবতী সমানে তাকে ফোন করতে থাকেন।
রিঙ্কুকে তিনি বারংবার বলতে থাকেন, তাঁর ল্যাপটপ ফ্ল্যাটে পড়ে রয়েছে। সেটি তাকে ফেরত নিতেই হবে। রিঙ্কুর পরিবার জানায়, ফ্ল্যাটে তালা দেওয়া রয়েছে। যেহেতু পুলিশ সেই ফ্ল্যাট খুলে তদন্ত করতে পারে তাই ছবি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। তবে তাতেও থেমে থাকেনা যুবতী।
অভিযোগ সেই দিনই নিউটাউন থানার আইসি-র নাম করে তিনি বলেন ফ্ল্যাটটি খুলে দিতে। তবে ফ্ল্যাট খুলতে তখনও রাজি হননি রিঙ্কুরা। জানা গিয়েছে এত কিছুর পরও ওই যুবতী গভীর রাতে সাপুরজি আবাসনে গিয়েছিলেন। কেন এই আচরণ? কী এমন আছে ওই ল্যাপটপে যে সেটা নেওয়ার জন্য এত তাড়া? সত্যিই কী ল্যাপটপ নেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল? না কি রাতে ফ্ল্যাটে ঢুকে কোনও তথ্য ও প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করছিলেন যুবতী? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।