বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সদ্য বিয়ে সেরেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও রিঙ্কু মজুমদার (Rinku Majumdar)। বিয়ের মাত্র পঁচিশ দিনের মাথায় মৃত্যু হয়েছে রিঙ্কুর একমাত্র ছেলে সৃঞ্জয় মজুমদারের ওরফে প্রীতমের। পুত্রশোকে কাতর মা। দিলীপ ঘোষও ভেঙে পড়েছেন। গতকাল ছেলেকে শেষবারের মতো দেখতে হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন প্রীতমের বাবা রাজা দাশগুপ্ত। এবার ছেলের মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করলেন।
কী বললেন রিঙ্কুর ১ম স্বামী? Rinku Majumdar
মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনে রিঙ্কুর শাপুরজি আবাসন থেকে উদ্ধার হয় সৃঞ্জয় মজুমদারের ওরফে প্রীতমের নিথর দেহ। ছেলের মৃত্যু নিয়ে রিঙ্কুর আগের পক্ষের স্বামীর দাবি, ছেলে মায়ের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। এবিপি আনন্দে দেওয়া সাক্ষাতকারে রাজা বলেন, ‘আসলে আমার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ছেলে মায়ের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিল। মা বিয়ে হয়ে চলে যাচ্ছে, বুঝতে না দিলেও ওর কষ্টে হচ্ছিল। সেই কারণেই সামাজিক অনুষ্ঠানে ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘ছেলে আমাকে ফোন করেছিল। বলেছিল, বাবা, আর কিছু বছর পর আমিও বিয়ে করব। মা বলছে, আবার একা হয়ে যাবে। মা একটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। মা যদি ভাল থাকে, তাহলে অবশ্যই ভাল’।” প্রীতমের বাবার দাবি, “বাহ্যিক ভাবে ও হয়ত সবাইকে দেখিয়েছে যে মেনে নিয়েছে। কিন্তু মনে মনে হয়ত মেনে নিতে পারেনি।”
আরও পড়ুন: ঢুকে পড়ল বর্ষা! শনিবার পর্যন্ত টানা ঝড়-বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে, আবহাওয়ার আগাম খবর
তিনি যোগ করেন, “ও হয়তো মনে করেছে যে একেবারে একা হয়ে গেলাম! বাবার কাছ থেকেও চলে এলাম, মা-ও চলে গেল। ছেলেটা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছিল। মৃত্যুর কারণ আমার কাছে ধোঁয়াশা। নর্মাল ডেথ আমার মনে হয় না।” প্রসঙ্গত, ছোটবেলা থেকে প্রীতম থাকতেন মায়ের সাথেই। তবে বাবার পদবি ব্যবহার করতেন ছেলে।
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/live/6je0TTLz4TE?si=XOB4qrxnS1PshVRe
রিঙ্কুর এক আত্মীয় বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির জেরে রিঙ্কু ছেলেটাকে নিয়ে চলে আসে। অনেক কষ্ট করে লড়াই করে ছেলেটাকে বড় করেছিল।” গতকাল রিঙ্কু জানান, ছেলের স্নায়ুর অসুখ ছিল। এক বছর ধরে ওষুধও চলছিল। উল্লেখ্য, মৃতের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ থেকে মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আনার চার-পাঁচ ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।